তৃতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের একটি দল আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে। চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে চারটি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে আনা হয়। সকাল ৯টার দিকে জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়।
সকালে জাহাজে ওঠার সময় শাহাবুদ্দিন নামে এক রোহিঙ্গা জানান, ভাসানচরে সুযোগ-সুবিধা বেশি বলে সেখানে থাকা ভাইয়েরা তাঁকে জানিয়েছেন।
জাহাজে ওঠার আগে রিয়া খাতুন নামে আরেক রোহিঙ্গা জানান, তাঁর চার সন্তান। তাঁদের নিয়ে তিনি ভাসানচরে যাচ্ছেন। সেখানে তাঁর অন্য আত্মীয়স্বজন রয়েছেন।
আজ ও আগামীকাল দুদিনে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের প্রস্তুতি রয়েছে বলে গতকাল অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানান।
গতকাল ৩৮টি বাসে করে অন্তত ৩৫৩ পরিবারের ১ হাজার ৭৭৮ জনকে চট্টগ্রামে আনা হয়। এই ১ হাজার ৭৭৮ জনই আজ দুপুরে ভাসানচরে পৌঁছাল। আজ আরও ১ হাজার ৩০০ জনকে চট্টগ্রামে আনা হবে। সেখান থেকে তাঁদের নৌবাহিনীর জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হবে।
এর আগে ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্ট রোহিঙ্গা শিবিরের কর্মকর্তা (ইনচার্জ) মো. রাশেদুল ইসলাম গতকাল জানান, ওই শিবির থেকে স্বেচ্ছায় ছয় শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামে গেছে।
মিয়ানমারে হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৮ লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
প্রতিনিধি