সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরে অবশেষে ইজারাদার ও সাবলিজ গ্রহিতার লাটিয়াল বাহিনীর হাতে একজন কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছে। নিজের জমি রক্ষায় তিনি হাওরে গিয়েছিলেন। তাকে একা পেয়ে লাটিয়াল বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করে। পরে এ খুন থেকে রক্ষার জন্য নানা রকম অপপ্রচার চালানো হয়। নিহত ব্যক্তির নাম ছরকুম আলী দয়াল (৬০)। তিনি চৈতননগর গ্রামের আকবর আলীর পুত্র। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুর ২টায় একজন প্রবাসীর নেতৃত্বে লিজ গ্রহীতার লাটিয়াল বাহিনী দয়ালের জমির পানি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ায় তিনি বাঁধা দেন। এতে দলবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে দয়ালের আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থলে গেলে ইজারদার বাহিনী পূনরায় তাদের উপর আক্রম করে। এতে দয়ালের পুত্র পাবেল, চান্দ আলীরপুত্র ইন্তাজ আলী, আহমদ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর ও রেজাউলকে মারপিট করা হয়। মূলত ঘোষণা দিয়েই ছরকুম আলী দয়ালকে হত্যা করা হয়। গত বাসিয়া ব্রীজের ওপরে কৃষকরা যে দুটি মানববন্ধন করেছিলেন এই মানববন্ধনে ছরকুম আলী দয়ালের ভাতিজা আহমদ আলী অভিযোগ করেছিলেন যে লিজ গ্রহীতা ও বাহিনী আহমদ আলী ও তার চাচাকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই ঘোষণা মতে আজ দয়ালকে হত্যা করা হয়েছে। প্রভাবশালী লিজ গ্রহিতার নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রশাসনের কিছু লোক তাকে আস্কারা দেওয়ায় এই হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটলো। চাউলধনী পার এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। চাউলধনী হাওররের ২৫টি গ্রামের নারী পুরুষ এখন আতঙ্কিত। যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত চাউলধনী হাওর পারের প্রবাসীরা চরম ক্ষোব্দ ও হতাশ। তারা অভিলম্বে চাউলধনী হাওরের লিজ বাতিল এবং খুনিদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। অন্যতায় তারা দেশে বিদেশে কৃষক বাঁচাও আন্দোলন গড়ে তুলবেন। কয়েকদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রীসহ সরকারের উদ্বর্ধতন মহলে স্মারকলীপি প্রদান করবেন বলে বিশ্বনাথে ডাক ২৪ডটকমকে প্রবাসীরা জানিয়েছেন। বিশ^নাথ থানার ওসি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দয়ালের দেহে কোন আঘাত পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ৩জন আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন। কয়েকদিন পূর্বে স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, চাউলধনী হাওর নিয়ে কৃষকরা কোন আন্দোলন করছেন না। একটি স্বার্থনেষি মহল কৃষকের নামে আন্দোলন করছেন। উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তা এক রিপোর্টে চাউলধনী হাওরে কৃষকদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না মর্মে উদ্বর্ধতন মহলে রিপোর্ট দাখিল করেছেন। যে কারণে লিজ গ্রহিতা চরম বেপরোয়া হয়ে গেছে। কৃষক তার জমির সেচের পানি রক্ষা করতে গিয়ে খুন হলেন। এর কোন প্রতিকার আছে কি?
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.