ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজারের মহেশখালীতে তেল শোধনাগার প্রকল্পের জন্য শর্তসাপেক্ষে ১ হাজার ৭০১টি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। “এছাড়া পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম হয়েছে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ মন্ত্রণালয়। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনস্থ ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ডিপোতে আমদানি করা জ্বালানি তেল পরিশোধনের জন্য মহেশখালীতে সরবরাহ করা হবে। এ জন্য ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯০ দশমিক ৯৫৬ একর সংরক্ষিত বনভূমির গাছ কাটার প্রয়োজন পড়বে। তেল শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১ হাজার ৭০১টি গাছ কাটা হবে। ‘এ বনজ সম্পদের ক্ষতিপূরণ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।’
“তিনি আরো বলেন, ভূমি ব্যবহারের জন্য বিপিসিকে প্রতিবছর একর প্রতি দুই হাজার ৪০০ টাকা রাজস্ব দিতে হবে। যে পরিমাণ গাছের ক্ষতি হবে, তার পাঁচগুণ গাছ লাগাতে হবে। বিপিসিকে ১০ বছর গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পরিবহন খরচ ও অপচয়সহ সরকারের বাৎসরিক প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
এদিকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম হয়েছে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের নাম বদলের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন,নাম পরিবর্তনের এ প্রস্তাব আগেই এসেছিল। “আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ শব্দটা যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে বাংলায় ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়’ এবং ইংরেজিতে গরহরংঃৎু ড়ভ ঊহারৎড়হসবহঃ, ঋড়ৎবংঃ ধহফ ঈষরসধঃব ঈযধহমব হবে এ মন্ত্রণালয়ের নাম।”
মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের ফলে কি সুবিধা পাওয়া যাবে- এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ক্লাইমেট চেইঞ্জ শব্দটা থাকলে ক্লাইমেট ফান্ড রিলেটেড যে অ্যাকটিভিটিসটা আসবে, সেগুলোকে আমরা অ্যাড্রেস করতে পারব। বিশ্বে জালবায়ু পরিবর্তনের ফলে , যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে সেসব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়েই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শফিউল বলেন,সারা বিশ্বে ক্লাইমেট চেইঞ্জটা আলোচনায় চলে এসেছে, আপনারা দেখছেন যে প্রকৃতিতেও চেইঞ্জ চলে এসেছে, ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, আগাম বন্যা, কত রকমের প্রাকৃতিক চেইঞ্জ আমরা এমনি দেখতে পাচ্ছি। “সেটা শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বেই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটা প্রাকৃতিক চেইঞ্জ অটমেটিকলি চলে আসছে। “এজন্য এই বিষয়টা এখন কিন্তু বাংলাদেশের সাবজেক্ট নাই, সারা বিশ্বেই ক্লাইমেট চেইঞ্জটা আলোচিত হচ্ছে।”