অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পুরো যুক্তরাজ্য। গতকাল শুক্রবারই দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩২৫ জনের। আর এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এর আগের দিন গত বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা ছিল ১১৬২ জন এবং গত বুধবার ছিল ১০৪১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালে ৭৯ হাজার ৮৩৩ জনে। আজ শনিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে ভাইরাসটিতে গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর পাশাপাশি একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তও শনাক্ত হয়েছে। এদিন যুক্তরাজ্যে ৬৮ হাজার ৫৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পছেড়ে যা গত বৃহস্পতিবার ছিল ৫২ হাজার ৮১৮ জন এবং বুধবার ছিল ৬২ হাজার ৩২২জন। ফলে এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭২ জনে।
দেশটিতে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরনের সংক্রমণ ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগী উপচে পড়ার ঝুঁকির মুখে লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ‘গুরুতর পরিস্থিতি ঘোষণা করেন। যা জরুরি অবস্থা জারির শামিল। এই সময়ে তিনি জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের হাসপাতালগুলো অন্য সময়ের চেয়ে বেশি চাপের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া সারা দেশ জুড়ে সংক্রমণের হার চরম আকারে বেড়ে চলেছে।’
উল্লেখ্য, লন্ডনে সর্বশেষ ২০১৭ সালে সুউচ্চ গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় এমন গুরুতর পরিস্থিতির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ৭২ জন।
প্রতিনিধি