হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামে লন্ডন প্রবাসীর স্ত্রী ও মাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। রবিবার মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে। “এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার সকালে ৫জনকে আটক করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।”
‘নিহতরা হলেন নবীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নের কুর্শি ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামে মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নিহত মালা বেগম (৫০) ও লন্ডন প্রবাসী আকলাক চৌধুরী গুলজারের স্ত্রী রুমি বেগম ।
জানা যায়, সাদুল্লাপুর গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার পুত্র আকলাক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। গত ২ বছর পূর্বে একই গ্রামের পল্লী চিকিসৎক নজরুল ইসলামের ছোট বোন রুমি বেগমকে বিয়ে করেন আকলাক চৌধুরী ওরফে গুলজার। বিয়ের পর থেকে বাড়িতে শুধু মা মালা বেগম ও স্ত্রী রুমি বেগম থাকতেন।
গত রোববার মধ্যরাতে হঠাৎ সুর চিৎকার শুনে গ্রামের আশপাশের মানুষ গিয়ে দেখেন লন্ডন প্রবাসী আকলাক চৌধুরী ওরফে গুলজারের স্ত্রী রুমি বেগম ও মা মালা বেগমের রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতাুউর রহমান নেতৃত্বে একদল পুলিশ লামের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.স.ম সামছুল ইসলাম ভুইয়া, সার্কেল এসপি পারভেজ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত রুমি বেগমের বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, রাতে রুমি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানায় তার চোঁখে আঘাত পেয়েছে ঔষধ দেওয়ার জন্য। পরে বোনের পাশের বাড়ির ফুরক মিয়ার কাজের লোক তালেব মিয়া রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বোনের জন্য ঔষধ নিতে আসে। তার কাছে ঔষধ দিয়ে পাঠানোর দেড় ঘন্টার মাথায় এ নির্মম ঘটনার খবর পান,”স্থানীয় লোক জানান, চিৎকার শুনে তারা বাড়িতে গিয়ে লাশ দু’টি দেখতে পান। এ সময় ঘরের একটি টেবিলে ৪টি চায়ের কাপও ছিল। এতে ধারনা করা হচ্ছে হত্যাকারীরা ঘটনার পুর্বেই বাড়িতে অবস্থান করছিল।’
“তবে ঘরের কোন মালামাল নেয়নি বা খোয়া যায়নি বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন।”
“এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.স.ম সামছুল ইসলাম ভুইয়া বলেন- হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্বারে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই ৫জনকে আটক করা হয়েছে। খুনীদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।”