Home » সিলেট নগরীর যানজট কমানোর সাফল্য দেখিয়ে পুরস্কৃত এডিসিসহ ৬৩ পুলিশ

সিলেট নগরীর যানজট কমানোর সাফল্য দেখিয়ে পুরস্কৃত এডিসিসহ ৬৩ পুলিশ

সিলেট নগরীর ফুটপাত দখল করে হকারদের যত্রতত্র ব্যবসার জন্য সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থলে যানজট লেগেই থাকত। সিটি করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে লালদীঘির পাড় এলাকার খোলা মাঠে ফুটপাতের হকারদের পুনর্বাসন উদ্যোগ নেওয়া হয় নতুন বছর সামনে রেখে। এক সপ্তাহের মাথায় নগরীর কেন্দ্রস্থলের বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট ও জিন্দাবাজার এখন অনেকটাই হকারমুক্ত। সড়কেও নেই আগের মতো যানজট। নগরবাসীকে যানজট থেকে স্বস্তি দেওয়ার সাফল্য দেখিয়ে পুরস্কৃত হলেন একজন অতিরিক্ত উপকমিশনারসহ (এডিসি) ট্রাফিক পুলিশের ৬৩ সদস্য।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এই পুরস্কার দিয়েছে। আজ সোমবার এসএমপির ট্রাফিক বিভাগের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসএমপির কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ পুরস্কার তুলে দেন।

হকার পুনর্বাসনে পদক্ষেপ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগে নেতৃত্ব দেওয়ায় ট্রাফিক বিভাগের এডিসি জ্যোতির্ময় সরকার, সহকারী কমিশনার আবুল খায়ের ও আসিদুর রহমানের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন এসএমপির কমিশনার। এ উদ্যোগে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করায় ট্রাফিক পরিদর্শক মো. বদিউল আমীন চৌধুরী, নিখিল জীবন চাকমা, মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. মুহিবুর রহমান, মো. হানিফ মিয়া, রাশেদ মামুন চৌধুরী, মো. আবদুল মুকিত, সুশান্ত নারায়ণ দে, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ১৫ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, ৩ জন টিএসআই, ৩ জন এটিএসআই, ২ জন নায়েক ও ২৪ জন ট্রাফিক কনস্টেবলকে পুরস্কৃত করা হয়।

এরপর ট্রাফিক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মাসিক কল্যাণ সভা হয়। এসএমপির উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদের সভাপতিত্বে ও এডিসি জ্যোতির্ময় সরকারের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এসএমপির কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ।

এসএমপির কমিশনার সিলেট নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানজট নিরসনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় ট্রাফিক বিভাগকে অভিনন্দন জানান। তিনি সবাইকে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বলেন।

ট্রাফিক বিভাগের মাঠপর্যায়ের এই কাজে নেতৃত্ব দিয়ে পুরস্কৃত এডিসি জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, হকার পুনর্বাসনের পরপরই নগরীর কেন্দ্রস্থলের সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরেছে।

ট্রাফিক বিভাগ জানায়, সিটি করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর কেন্দ্রস্থলের ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসা হকারদের তালিকা করা হয়। এরপর তাঁদের পুনর্বাসন করা হয় নগর ভবনের পেছনে লালদীঘির পাড় এলাকার খোলা মাঠে। সেখানে প্রাথমিকভাবে ৮৭০ জন হকারকে পুনর্বাসন করা হয়। এরপর সিটি করপোরেশন বন্দরবাজার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার ফুটপাতে ‘হকারমুক্ত’ সাইনবোর্ড সাঁটায়। এ কার্যক্রমের পরপরই নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে হকারমুক্ত এলাকার সড়কে রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। রোববার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মাঠে তৎপর রয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *