বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার বেতাগীতে ” লজ্জা নয় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মূল কথা”কিশোরী স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের উদ্বুদ্ধকরণ সভা ও স্যানিটারি প্যাড বিতরণ করা হয়েছে।
ধ্রুবতারা ইয়ূথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ও একশন এইট এর সহযোগিতায় রবিবার(২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আঁধারের আলো নারী কল্যাণ সমিতি’র সাধারণ সম্পাদিকা ও স্বাস্থ্য সেবিকা অন্তরা আকতারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মোসাঃ মাহমুদা খানম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বেতাগী প্রেসক্লাবের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম মন্টু, উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক মোসাঃ নাসিমা বেগম, আমেনা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদিকা মোসাঃ মুন্নি আক্তার।
এতে কিশোরী স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের উদ্বুদ্ধকরণ বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলা মেডিকেল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের মোটিভেশনাল স্পিকার কুশাল কর্মকার।
তার বক্তব্যে বলেন, বেতাগী উপজেলা ভৌগোলিক দিক দিয়ে সমুদ্র তীরবর্তী ও উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান। জলবায়ূ পরিবর্তনগত ও অবস্থানগত দিক দিয়ে অত্র এলাকায় দ্রুত বয়সন্ধিকাল ৯ বছর থেকে শুরু হয়। এবং ঐ সময়ে কিশোরী প্রাথমিক বিদ্যালয় গন্ডি পেরুতে পারে না। এরই মধ্যে তার শারিরীক গঠন ও প্রাকৃতিক মাসিক (ঋতুস্রাব) শুরু হয়। ভাল মন্দ বোঝার বয়স না হতেই এই পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দেয়া, ব্যক্তিগত সচেতনতা না থাকা বা শিক্ষা না পাওয়া এবং পারিবারিক ভাবে লজ্জায় কিছু প্রকাশ না করা একটি কঠিন অবস্থায় পর্যবসিত হয়।
এমতবস্থায় শারিরীক ও মানসিক অবস্থা উন্নতি কল্পে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীদের নিয়ে এবং নারী সদস্য পরিবারের মধ্যে একটা আন্তঃসম্পর্কের মাধ্যমে কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করা। যার চর্চা তৈরী করতে প্রাথমিক ভাবে উঠান বৈঠক এর মাধ্যমে হাইজিন (ব্যক্তিগত ও পারিবারিক) ব্যবস্থাপনায় পিরিয়ড কালীন সময়ে সুষম খাদ্য গ্রহণে উৎসাহ প্রদান লিপলেট সরবরাহ ও নিরাপদস্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবহার এর সুফল ও কুফল বর্ণনা করে সচেতনা বৃদ্ধি করা যাতে শারিরীক ও মানসিক উন্নতি সাধন হবে।
আঁধারের আলো নারী কল্যাণ সমিতি’র সাধারণ সম্পাদিকা ও স্বাস্থ্য সেবিকা অন্তরা আকতার বলেন, কিশোরী ও তার পরিবারে বয়ঃসন্ধি কাল সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ভাবে অবগত হবে। ঐ সময়ে করনীয় সম্পর্কে সচেতন হবে। পিরিয়ড কালীন সমস্যা দুরীকরণে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে অভিগম্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং হাইজিন ব্যবস্থাপনায় স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবহার বাড়বে। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণের জ্ঞান লাভ করবে। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী ও গ্রহণ কারীদের ফলোআপ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপনে টেকসই উন্নয়ন লাভ করবে।
অনুষ্ঠান শেষে ৬০ জন কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড বিতরণ করা হয়।