শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ প্রধান তিতো কারনাভিয়ান বলেন, পরিবারটি ইন্দোনেশিয়ায় আইএস’র সহযোগী সংগঠন জামিয়াহ আনসারুত দাওলাহ (জেএডি) সংগঠনের সদস্য ছিল। তারা সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটির সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৫ সালের পর রবিবারের হামলাই ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বড় হামলা। রবিবারের হামলায় পরিবারটির বাবা বোমাবাহী একটি গাড়ি চালিয়ে সুরাবায়ার কেন্দ্রীয় পেন্টেকোস্টাল চার্চে বিস্ফোরণ ঘটায়। মা ও দুই শিশু কন্যা তাদের শরীরের সঙ্গে বোমা বেঁধে নিয়ে দিপোনেগোরো ইন্দোনেশিয়ান ক্রিশ্চিয়ান চার্চে গিয়ে আত্মঘাতী হয়। পরিবারটির ১৬ ও ১৮ বছর বয়সী দুই ছেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে সান্টা মারিয়া ক্যাথলিক চার্চে হামলা চালায়। পুলিশকে উদ্ধৃত করে জাকার্তা পোস্ট জানায়, প্রথম হামলাটি চালানো হয় স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার সময়। এর ৫ মিনিট পরে অন্য দুটি হামলা চালানো হয়। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে একটি গির্জার প্রবেশমুখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। খবরে বলা হয়, আরও কয়েকটি গির্জায় হামলা বানচাল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একটি বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো বিদোদো এই হামলাকে ‘বর্বর’ বলে বর্ণনা করেন। ওই সময় তিনি ঘটনা তদন্ত ও সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবারই তারা পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর এলাকায় জেএডি সদস্য সন্দেহে চারজনকে হত্যা করেছে ও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে একটি মদের দোকান ও নৈশক্লাবে দুটি বোমা হামলা চালায় আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন। জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাটিতে ওই হামলায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এরপর ২০০৫ সালের মে মাসে সুলাবিসি দ্বীপে বোমা বিস্ফোরণে ২২ জন নিহত হয়। তার ৬ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বালি দ্বীপে আরেক বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হয়।