অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস এবার দক্ষিণ কোরিয়ায়ও শনাক্ত হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সর্বশেষ পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে।’
যুক্তরাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসটি ইউরোপকে নতুন করে চাপের মুখে ফেলেছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন স্ট্রেইন পাওয়া গেছে। নতুন করে সংক্রমণ রোধে দেশগুলো সীমান্ত ও বিমান যোগাযোগ স্থগিত করেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ আজ সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছেছে।’
তুর্কি আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরা তিন ব্যক্তির শরীরে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরা আরও এক ব্যক্তির বিষয়ে তদন্ত করছে দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি দেশে ফেরার পর ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তিনিও নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ছিলেন। ওই ব্যক্তির স্ত্রী-ও করোনা পরীক্ষা করেছেন। তিনি এখন রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।’
সম্প্রতি লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে করোনাভাইরাসের এই নতুন এবং অত্যন্ত সংক্রামক স্ট্রেইনটি ছড়িয়ে পড়ে। এটি আগের ভাইরাসের চেয়ে আরও বেশি সহজে এবং দ্রুত গতিতে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এর ফলে আগামী বছর এতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার আরও বেড়ে যাতে পারে। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যাও।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন-এর সেন্টার ফর ম্যাথমেটিক্যাল মডেল অব ইনফেকশাস ডিজিজের সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় নতুন এই স্ট্রেইনটি ৫৬ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন।
প্রতিনিধি