সিলেটের পেট্রোল পাম্পগুলোতে ইতোমধ্যে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তেলবাহী গাড়ি সিলেটে না আসায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার মধ্যে সিলেটে অধিকাংশ পাম্পগুলোতে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেনের সংকট দেখা দেয়ায় কর্তৃপক্ষ তাদের পাম্প বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে যে কয়েকটি পাম্প খোলা রয়েছে সেগুলো থেকে ১০০-২০০ টাকার উপরে তেল দেয়া হচ্ছে না।
বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী জাকির হোসেন জানান, নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার বেঙ্গল গ্যাসোলিন পাম্প তেল না থাকায় বন্ধ পেয়ে তিনি একই এলাকার অন্য একটি পাম্প থেকে ৫০০ টাকার পেট্রোল কিনতে গেলে তাকে ১০০ টাকার তেল দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটার্স এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যদি গোলাপগঞ্জের কৌলাশটিলা থেকে তেল উৎপাদন হত তাহলে এই সংকট দেখা দিত না। সিলেটের সবগুলো পাম্পের চাহিদা পূরণ করে কৌলাশটিলা তেল সিলেটের বাহিরেও বিক্রি করা যেত।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ব্যবসায়ীরা সিলেট বিভাগের তেলের পাম্পগুলোতে নিম্নমানের তেল সরবরাহ করায় অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটার্স এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন। আগামী ২৭ ডিসেম্বর (রবিবার) সকাল থেকে ৬ দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও জানান, আমাদের দাবি অনেক পুরোনো। পূর্বের ন্যায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদিত তেল আমাদেরকে দিতে হবে। সেই সাথে চুক্তি বাতিল করতে হবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে। যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হয় তাহলে ২৭ ডিসেম্বর (রবিবার) থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সিলেট বিভাগের সকল পেট্রোল পাম্প ও গ্যাস পাম্প বন্ধ থাকবে।
প্রতিনিধি