অনলাইন সংস্করণ:নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বর-কনেবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রলারে থাকা অন্তত ৭০-৭৫ জন যাত্রী নদীতে ডুবে গেছে। যার মধ্যে নববধূ ও শিশুসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও নিখোঁজদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে ট্রলারে থাকা যাত্রীদের বাড়ি হাতিয়ার নলেরচর ও ভোলার মনপুরা বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৪টা) স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়ার নলেরচর থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে বিকালে ভোলার মনপুরার উদ্দেশে বর ও কনে’সহ ৭০-৭৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার রওনা দেয়। ট্রলারটি টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে পৌঁছলে জোয়ারের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা সকল যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে উঠে আসলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রলার ও নৌকার মাধ্যমে এগিয়ে গিয়ে অন্তত ৭ জনের লাশ এবং কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। উদ্ধার অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
প্রতিনিধি