জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরকারী, অপরাধী এবং ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যসহ দেশের সব ভাস্কর্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
জাতির পিতার ভাস্কর্যের সুরক্ষা, যথাযথ মর্যাদা রক্ষার ক্ষেত্রে ‘স্বার্থান্বেষী মহল, ভাংচুরকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ ও দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ভাংচুরকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী। সঙ্গে ছিলেন শাহ মনজুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়া শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে বাবুনগরী ও মামুনুল হকের বক্তব্যে উদ্ধুদ্ধ হয়ে এই ভাংচুর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে, জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রতিনিধি