অনলাইন ডেস্ক: আফগানিস্তানের একটি অননুমোদিত বারে নিহত এক তালেবান যোদ্ধার কৃত্রিম পায়ে বিয়ার ঢেলে পান করতেন অস্ট্রেলিয়ার স্পেশাল সেনাবাহিনীর সিনিয়র সদস্যরা।প্রথমবারের মতো গার্ডিয়ানের অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে।
২০০৯ সালে উরুজগান প্রদেশের তারিন কোত শহরে অস্ট্রেলিয়ার স্পেশাল ফোর্সের ঘাঁটিতে ফ্যাট লেডি আর্মস নামের একটি অননুমোদিত বার ছিল। গার্ডিয়ানের ছবিতে দেখা গেছে, সেখানে অস্ট্রেলিয়ান এক সিনিয়র সেনাসদস্য তালেবান যোদ্ধার কৃত্রিম পায়ে বিয়ার ঢেলে তা পান করছেন।
আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, দুই অস্ট্রেলিয়ান সেনা সদস্য একটি কৃত্রিম পা নিয়ে নাচানাচি করছেন।
কিছু উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতেন এবং তাদের কেউ কেউ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই পাটিকে যুদ্ধবিজয়য়ের ট্রফি হিসেবে বিবেচনা করতো সেনারা। অথচ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে এ ধরনের কিছু খুলে আনা বা নিয়ে আসা পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
কৃত্রিম ওই পা ২০০৯ সালে এপ্রিলে উরুজগান কাকারাক কমপ্লেক্সে হামলার সময় নিহত এক তালেবান যোদ্ধার বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্যাট লেডিস আর্মস বারে এই পা রক্ষিত ছিল। বারে কোনো অতিথি চাইলে তাতে করে বিয়ার পান করতে পারতেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এক সরকারি প্রতিবেদনে জানা গেছে, আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালনকালে অবৈধভাবে দেশটির ৩৯ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ান সেনারা। আফগানিস্তানে সংঘটিত এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৯ জনের ব্যাপারে তদন্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বাহিনীর প্রতি সুপারিশ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।বেআইনি হত্যাকাণ্ড চালানোয় জড়িত বিশেষ বাহিনীর ১৩ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার লেফট্যাটেন্ট জেনারেল রিক বুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে দায়িত্বে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল তা প্রমাণ হয়েছে। সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করেই তাদের চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। এতে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ান একজন সেনা রক্ত মাখা একটি ছুরি এক শিশুর গলার কাছে ধরে আছেন। পাশে দাঁড়ানো শিশুটির একটি ভেড়াকে ধরে আছে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে এই ছবি বানোয়াট। এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে।
প্রতিনিধি