প্যানেল থেকে নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই-একথা আবার জানিয়ে দিলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। নিয়োগে অর্থ লোনদেনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে শতর্কও করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিন এ প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার এক নির্দেশনা জারি করে অধিদফতর বলেছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মাঠ পর্যায়ে তথাকথিত প্যানেল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে নিরীহ প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে। প্যানেল থেকে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আরো বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সকল শূন্য পদ তথা ১৮ হাজার ১৪৭টি পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
অধিদফতর বলছে, ‘এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো প্যানেল করার বিষয় উল্লেখ ছিল না। ফলে এ নিয়োগে কোনো প্যানেল বা অপেক্ষমান তালিকা করা হয়নি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ একটি রুটিন প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে পদ শূন্য হবে বিবেচনা করে প্যানেল করার কোনো সুযোগ নেই। ৩০ জুন ২০১৯-এর পর রাজস্বখাতে বিভিন্ন কারণে পদ শূন্য হয়েছে এবং ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে নতুনভাবে জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষকের পদ সৃজিত হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এসব পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া আইনানুগভাবে সম্ভব না হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যার পরিপেপ্রক্ষতে চলতি বছরের ২৪ নবেম্বর পর্যন্ত ১৩ লক্ষাধিক প্রার্থী অনলাইনে আবেদন করেন। তাই ‘প্যানেল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে’ এমন কথায় বিভ্রান্ত হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
প্রতিনিধি