দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় সংক্রমিত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে ২ হাজার ৫৩৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববারের চেয়ে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা দুই–ই বেড়েছে। বেড়েছে শনাক্তের হারও।
দেশে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ৬৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১১৮টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ৩৭২ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকার।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল।
একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল। তবে চলতি নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে শনাক্তের হারে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা আসার আগপর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা—মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। কিন্তু এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালাভাব দেখা যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
প্রতিনিধি