সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানাধীন পাঠানটুলা থেকে মিফতাহুর রহমান (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ পাঠানটুলাস্থ নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশ পাঠায়।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক তরুণীকে আটক করেছে। ওই তরুণী ও মিফতাহুর রহমান একই বাসায় থাকতেন। আত্মহত্যার প্ররোচণা দেয়ার অভিযোগে তরুণীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়। মিফতাহুর রহমান দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কদমতলি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
নিহতের চাচা মুহিবুর রহমান বলেন, আমাদের ধারণা হচ্ছে কেউ আমার ভাতিজাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছে। পরে আবার তার মরদেহ নামিয়ে রাখে। তরুণী আমাদেরকে জানায়, আমার ভাতিজার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তবে বিয়ে হয়েছিল কি-না সেটি আমরা বলতে পারবো না। মেয়েটির বাড়ি হচ্ছে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানা এলাকায়।’
কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এসময় পুলিশ নিহত মিফতাহুর রহমানের প্রেমিকাকে আটক করেছে। ওই তরুণীর মা কয়েকদিন পূর্বে মিফতাহুর রহমানের বাসায় তাকে রেখে যান। শুক্রবার রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে দুজন দুই রুমে চলে যায়। মেয়েটি একরুমে বসে ব্লেড দিয়ে হাত কাটছিলো। আর ছেলেটি গলায় ফাঁস দেয় বলে জানিয়েছে তরুণী।
প্রতিনিধি