সূর্যের দেখা নেই দু’দিন, আকাশ মেঘলা। এর মধ্যে শুক্রবার (২০ নভেম্বর) এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বাতাসের সংমিশ্রণের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা কুয়াশা আর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির কারণে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামীকাল রবিবার (২২ নভেম্বর) আকাশ পরিষ্কার হতে পারে। আর আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নভেম্বরে বৃষ্টি হলেও শীত জাকিয়ে বসবে ডিসেম্বরেই৷
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এই সময়ে এই ধরনের হালকা বৃষ্টি হয়ই। প্রতিবছরের মতো এবারও হচ্ছে। এতে আকাশ কোথায় মেঘলা আর কোথাও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে আছে। আগামীকাল পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। আজ সারাদিনই আকাশ মেঘলা থাকবে। পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বাতাসের সংমিশ্রণের কারণে এই কুয়াশা আর বৃষ্টি হচ্ছে।’
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুরে ৭ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায় ২ মিলিমিটার এবং টাঙ্গাইলে সামান্য বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, নভেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এই মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসবে। তবে তাপমাত্রা খুব বেশি কমবে না। আর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান