বাংলাদেশে চলমান কভিড১৯ পরিচিত কারণে জেনারেল শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকারী সিদ্ধান্ত দেয়া হলেও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত না হওয়ায় সিলেটের বিভিন্ন টেকনিক্যাল শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভোগছেন। শিক্ষার্থীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-ছাত্রী ঐক্য পরিষদ সিলেট উদ্যোগে ১ নভেম্বর রবিবার সকালে সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, এক দেশে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেন দুই নিয়ম? সকল শিক্ষার্থীরা করোনা পরিস্থিতি ঘরে ছিল। তাহলে কেন ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ইয়ার লস দিতে হবে। তারা বলেন, শিক্ষা পদ্ধতিতে বইয়ের অধ্যায়গুলো কমিয়ে প্রশ্নপত্র শর্ট করে পরীক্ষা নিতে হবে। না হয় অটোপাশ দিতে হবে।
মানববন্ধনে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ সিলেটের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মধ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হল, সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, ইসলামী ব্যাংক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি সিলেট, সিলেট প্রফেশনাল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট সহ সিলেট এর ডিপ্লোমা ইন-ইন্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বিভিন্ন দাবী দাওয়ার মধ্যে ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। দাবীগুলো হচ্ছেঃ-
১। দ্রত সময়ের মধ্যে কোন পর্ব সেশন লস না করে উভয় জোড়(২য়,৪র্থ ও ৬ষ্ট) ও বিজোড় (১ম, ৩য় ও ৭ম) পর্বের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করে ২ মাসের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
২। পরীক্ষা গ্রহণের বিলম্বিত বা কালক্ষেপন ঘটলে থিওরি পরীক্ষা অটোপাশ কনসিডার করে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা শর্ট সিলেবাসের মাধ্যমে দ্রæত মূল্যালয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
৩। ৮ম পর্বের দ্রত সময়ের মধ্যে ক্লিয়ারেন্স দেয়া এবং ৮ম পর্বের পূরবর্তী সেমিষ্টারের রেফার্ড কনসিডার করে দ্রæত সার্টিফিকেট প্রদান করা।
৪। মমতাময়ী দেশরতন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও শিক্ষামন্ত্রীর বাস্তবায়ন করে কার্যকারিতা চাই, কালক্ষেপর আর নয়।
৫। আমরা সম্পূর্ণ অটোপাশ চাই না, যথাযোগ্য মূল্যায়ন চাই।
৬। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিক মূল্যায়ন, তাদের বিষয়ে দ্রæততম রায় বাস্তবায়ন, কিন্তু দেশ গড়ার হাতিয়ার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও পলিটেনিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থার বৈষম্য দূরীকরণ ও যথাযথ মূল্যায়ন চাই।
৭। যে জনগোষ্টিকে নিয়ে চীন বিশ্ব বাজার দখল করেছে, সেই জনগোষ্টিকে বাংলাদেশ অবমূল্যায়ন না করে দক্ষ জনশক্তি তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবী জানাচ্ছি।
৮। সিদ্ধান্ত যে টাই হোক কোনোভাবেই আমাদের মূল্যবান একটি বছর নষ্ট করবেন না।
তাদের যৌক্তিক দাবী মেনে নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান শিক্ষার্থীরা।