কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০ উপলক্ষে মোঃ জেদান আল মুসা এর মাস্ক বিতরণ করেণ সাধারণ জনগণ এর কাছে। অদ্য ৩১/১০/২০২০খ্রিঃ তারিখ “মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র-কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০ উদযাপন করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সমুন্নত রাখার প্রয়াসে কমিউনিটি পুলিশিং একটি শক্তিশালী আধুনকি দর্শন বা মতবাদ হিসেবে পরিচতি। বর্তমান বাংলাদেশে সামাজিক, আর্থ সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নিবারণনের লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং একটি কার্যকরী ও সফল পুলিশিং ব্যবস্থা। কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ পালন করা হয়। এটি একটি দলনিরপেক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবী পুলিশিং ববস্থা। এই পুলিশিং ব্যবস্থার মূলনীতি হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে পুলিশের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে পুলিশের কর্মদক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং সমাজের ভাল মানুষগুলোকে এই ধরণের কার্যক্রমে উৎসাহিত করা। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশকে গতিশীল ও গণমুখী করে গড়ে তোলার অংশ হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মাদক, জুয়া, কিশোর অপরাধ, পারিবারিক কলহ, আর্থিক লেনদেন, জমি-জমা, বখাটেপনা, স্কুল-কলেজে মেয়েদের উত্যক্ত করা, গুজব, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, শিশু পাচার, শিশু শ্রম ইত্যাদি অপরাধের বিষয়ে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীণ সময়ে কমিউনিটি পুলিশিং এর প্রতিটি সদস্য পুলিশের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিক পালন করছে এবং বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৩১/১০/২০২০খ্রিঃ বেলা ০৩.০০ ঘটিকায় মোঃ জেদান আল মুসা, পুলিশ সুপার, রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, সিলেট করোনাকালীন সময়ে জনসাধারণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি রিক্সা চালক, সিএনজি চালকসহ পথচারীদের মধ্যে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে মাস্ক বিতরন করেন এবং সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার জন্য আহবান জানান।
আসুন সবাই করোনা সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। আতংক নয়, দরকার সতর্কতা ও সচেতনতা।