বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স্.) এর জন্ম দিন আজ (৩০ অক্টোবর শুক্রবার ) ১২ রবিউল আউয়াল। এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করবে আজ সারা বিশ্বের মুসলমানেরা ।
১ হাজার ৪৫০ বছর আগের এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর পেয়ারা হাবিব বিশ্বনবী (সা.)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন।
হজরত মুহাম্মদ (দ.)এর ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত প্রকাশিত হয়। এরপর বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। এরপর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এ বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ পাঠ, নফল নামাজ, ইবাদত-বন্দেগি ও আত্মীয়দের কবর জিয়ারত করে দিনটি পালন করেন। এ ছাড়া সারাদেশ মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন দরবারসহ ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোয় আলোচনা সভা ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধনিবাস ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
সিলেট হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার ও সরকারি ভবনসমূহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাসমূহে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করেছে এবং নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে তোরণ নির্মাণ করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ।
মাদরাসা-এ-তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া হেলিমিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-কাদেরী বলেন, বারোই রবিউল আউয়াল বিশ্ব সাম্য ও মানবতার বার্তাবাহী বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। দিনটিকে মুসলিম বিশ্ব পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করা হয় । মুসলমানসহ বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রতি বছরের মতো গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখা হযরত শাহজালাল (র.) এর দরগাহ থেকে সকাল ১০ বিশাল জশনে জুলুস বের করবে।
মিছিলটি নগরীর হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জালালাবাদ থানার মইয়ারচরস্থ মাদরাসা-এ-তৈয়বিয়া তাহেরিয়া হেলিমিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে জুলুসোত্তর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিনিধি