কোটা বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘোষণার ২৭ দিন পরও প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এ আন্দোলেনের নেতৃত্ব দেয়া সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেছেন, এ নিয়ে ৭ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
ঘোষণা বাস্তবায়ন না করে আমাদের সাথে নাটক করা হচ্ছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার না করে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।
সম্মেলনে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূর বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র। এটা আমাদের বড় পরিচয়। কিন্তু বিভিন্ন গোয়ন্দা সংস্থার মাধ্যমে আমাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে বিপদে ফেলার জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, গত মাসের ৯ এপ্রিল আমাদের সাথে সরকার কথা হয়েছিল যে, এই মাসের ৭ মে এর মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরপর ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর সে ঘোষণা ৭ মের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল আমরা সে আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছি৷ কিন্তু ৭ মে মধ্যে গেজেট বাস্তবায়ন হয়নি।
নুরুল হক আরও বলেন, আমরা শুরু থেকে অহিংস আন্দোলন করছি। আমরা অহিংস আন্দোলন করে যাব৷
প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণা দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে জারি না হওয়ায় আগামীকাল সকাল ১১টায় দেশের সকল কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানানো হয় সম্মেলনে। কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পালিত হবে।
কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে গতমাসে। সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।
‘এরপর দ্রুত কোটা সংস্কার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনের দাবি জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করে আন্দোলনকারীরা।’