কেবল অ
‘ভিযু‘ক্তদের নয়, সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকার অ‘প‘রাধ কর্মকা‘ণ্ডের লাগাম টানতে ওই এলাকার গ্রুপ লিডারদেরও বিচার করতে হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। টিলাগড় থেকেই আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অ‘ভিযান শুরু করতে হবে বলেও মত তার।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) একটি গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এমন মত প্রকাশ করেন মিসবাহ সিরাজ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)-এর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীতে সংঘবদ্ধ ধ‘র্ষণসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে নিজেকে ব্যর্থ দাবি করে মিসবাহ সিরাজ বলেন, আমি ব্যর্থ। রাজনীতিবিদ হিসেবেও ব্যর্থ, আইনজীবী হিসেবেও ব্যর্থ। এসব ঘটনা একের পর এক ঘটেছে। মা‘মলাও হয়েছে। কিন্তু ঘটনা সংঘটনকারীদের পেছনে আমাদের রাজনৈতিক কিছু নেতার আশকারা ছিল। ঘটনা ঘটলেই শুরু হতো ‘ব্লেম গেম’। এরপর বিচার পর্যায়ে নিতে গেলে পদে পদে বাধা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রভাবিত হতো, নয়তো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারত না। এ জন্য বিচার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ধ‘র্ষণকা‘ণ্ডের আগের ঘটনাগুলোর অধিকাংশ যেহেতু আমা‘র সময়কালের মধ্যে ঘটেছে, তাই দায় তো আমা‘রও আছে।
রাজনৈতিক ম‘দদে নগরীর টিলাগড় এলাকায় বিভিন্ন অ‘প‘রাধ কর্মকা‘ণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমা‘র সময়ে (সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালে) আমি এমনও দেখেছি যে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সফরে এসেছেন। সফরের আগের দিন পর্যন্ত তারা (টিলাগড় ছাত্রলীগ) চিহ্নিত থাকে, গোয়েন্দারা তৎপর থাকে তারা যাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যেতে না পারেন। কিন্তু শেষে আর তা ঠেকানো যায় না। প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষে দেখা যায় ফেসবুক তাদের ছবিতে ভেসে যায়। তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়দাতা হচ্ছেন তাদের গ্রুপের নেতা। এই গ্রুপ লিডারদেরও বিচার করতে হবে। অন্যথায় অ‘পকর্ম চলতে থাকবে।
মিসবাহ সিরাজ বলেন, রাজনৈতিক এই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলায় সমন্বিত প্রতিরোধ দরকার। যেখানে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে পু‘লিশ, প্রশাসনসহ সব সেক্টরের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ধ‘র্ষণকা‘ণ্ড প্রসঙ্গে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, অ‘ভিযু‘ক্ত ব্যক্তিরা সব ধ‘রা পড়েছে বলে বসে থাকলে হবে না। তারা যাদের অনুসারী, তারা বাইরে নানা রকম কলকাঠি নাড়ছেন। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার নানা রকম তৎপরতা চলছে। শাসক দলে আছে বলে সরকারের সব সেক্টরে তাদের ওঠাবসা আছে। আশ্রয়–প্রশ্রয়দাতাদের সমান অ‘প‘রাধী বিবেচনায় আইনের আওতায় আনতে হবে। এক কথায়, টিলাগড় এলাকা, এমসি কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা শুদ্ধি অ‘ভিযান দরকার। ধ‘র্ষণকা‘ণ্ডে গ্রে‘প্তার কয়েকজনের সঙ্গে পু‘লিশের বেশ সখ্য ছিল। এই সখ্যের মধ্যে পু‘লিশ কী‘ করে তাদের বি‘রুদ্ধে অ‘প‘রাধ প্রমাণ করবে? যাদের সঙ্গে ওঠাবসা নেই, এমন সংস্থা দিয়ে ত‘দন্ত করতে হবে। যেমনটা আমা‘র সময়ে (পিপি থাকাকালে) আ‘লোচিত রাজন হ‘ত্যা ও খাদিজাকে হ‘ত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, টিলাগড়ে একটা শুদ্ধি অ‘ভিযান দরকার। ক্যাসিনো–কা‘ণ্ড অথবা ফরিদপুরের মতো কিছু করতে হবে। নইলে আওয়ামী লীগ আর জনবান্ধব রাজনৈতিক দল থাকবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধ‘র্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এই ঘটনায় গ্রে‘প্তার হওয়া ৮ ছাত্রলীগ নেতা ইতোমধ্যে আ‘দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব‘ন্দি দিয়েছেন।
সূত্র: প্রথম আলো
বার্তা বিভাগ প্রধান