ইসরায়েল ও আজারবাইজানের মধ্যে নিরাপত্তা ও আমদানিবিষয়ক চুক্তি রয়েছে। গুঞ্জন আছে, এ চুক্তির আওতায় আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর ৬০ ভাগ অস্ত্রের চাহিদা মেটায় তেল আবিব। আর ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক জ্বালানি সরবরাহ করে আজারবাইজান। বৃধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে আজারবাইজানি প্রেসিডেন্টের সহকারি হিকমেত হাজিয়েভ বলেছেন, আর্মেনিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে ইসরায়েলি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
এমন অবস্থা ইসরায়েল থেকে নিজেদের দূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় আর্মেনিয়া। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নাঘডালিয়ান বলেন, ‘আজারবাইজানের কাছে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে তুরস্কের সমর্থন নিয়ে আজারবাইজান যখন আগ্রাসন চালাচ্ছে, তখন অস্ত্র সরবরাহের কথা মেনে নেওয়া যায় না।’ আর্মেনিয়ার এমন সিদ্ধান্তে আক্ষেপ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় ইসরায়েল। দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইসরায়েলে আর্মেনীয় দূতাবাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুই বৈরী প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। এই সংঘাতের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে উভয় দেশ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানানো হলে দুই পক্ষের কেউই সাড়া দেয়নি।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান