সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার ৪ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন লষ্কর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতের কাছে। আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমানের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও ৫ নম্বর আসামি রবিউলকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে নেয়া হয়েছে। তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য বিচারকের খাস কামরায় রয়েছেন।
জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকেলে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আসামিরা আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাদের একে একে করে জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছিলো।
এর আগে গত সোমবার তাদের ৩ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান। এছাড়া মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আরো ৫ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আগামীকাল শনিবার মামলায় রিমান্ডে থাকা আসামি রাজন, আইনুল ও মুহিবুর রহমান রনিকে রিমান্ড শেষে আদালতে নেয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যারাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এজাহারনামীয় সব আসামিসহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার আটজনের প্রত্যেককেই ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ও রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হচ্ছে- সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন, তারেক আহমদ, আইনুল ও মাহফুজুর রহমান মাছুম।
প্রতিনিধি