সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধুকে ধর্ষনের ঘটনায় যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে একজন কলেজের বর্তমান ছাত্র, বাকি সবাই বহিরাগত । এমন তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী। আজ বুধবার বিকেল ৫ টা ১০ মিনিটে কলেজের শিক্ষাবিদ সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিং করা হয়।
শুরুতেই এমসি কলেজকে দেশের শীর্ষ কলেজ উল্লেখ করে এ ঘটনার ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। এসময় প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তারা তাদের অবস্থান থেকে কাজ করছেন। কলেজ ব্যবস্থাপনার মধ্যে কোন ত্রুটি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। করোনা কালের আগে ও পরে কলেজ এবং ছাত্রাবাসের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাদা আলাদা নির্দেশনা ছিল। এখানে কাদের কি দায়িত্ব ছিল, দায়িত্বে কোন অবহেলা ছিল কিনা এসব নিয়ে আমরা সবার সাথে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তার সাথে এবং ভিকটিমের সাথেও কথা বলার চেষ্টা করেছি। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বৃহষ্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রী বরাবর পেশ করা হবে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করা হবে ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১’শ ৪৪ একর জায়গার উপর বিশাল ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত যা যা প্রয়োজন মনে হয়েছে সেখানে গ্যাপ রয়েছে। হোস্টেল যেভাবে তৈরী সেখানে বহিরাগতরা অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে। সেখানে আলোর সংকট, সীমানা প্রচীরের অভাব রয়েছে ।
প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী আরো বলেন, করোনা কালে কোন অবস্থাতেই কলেজ ছাত্রাবাস খোলার নির্দেশনা নেই ।
উল্লেখ্য, সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধুকে গণধর্ষনের ঘটনায় গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।মন্ত্রনালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি দুই দিন সিলেটে অবস্থান করে ঘটনা স্থল, ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে আজ বুধবার এক ব্রিফিং করেন।
প্রতিনিধি