কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিসিএস ছাড়া সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে ২৫ মার্চকে প্রার্থীর ৩০ বছর ধরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘২৫ মার্চের আগে নিয়োগের ছাড়পত্র গ্রহণসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সত্ত্বেও কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে যেসব দপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব দপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ মার্চ তারিখের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থা নিতে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ জানানো হলো।’
এ আদেশটি জারি করা হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের উপসচিব দীপংকর বিশ্বাসের স্বাক্ষরে। তিনি গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২৫ মার্চের আগে যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির জন্য ছাড়পত্র নিয়েছিল শুধু সেসব বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী চাকরি প্রার্থীরা বয়স ছাড় পাবেন।’ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নেওয়া বিজ্ঞপ্তি যদি আগামী ডিসেম্বরেও প্রকাশ করা হয় তাহলেও এই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। তবে এখন যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির জন্য নতুন ছাড়পত্র নিচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না।’
যাঁরা উল্লিখিত শর্তযুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করবেন তাঁদের ক্ষেত্রে ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখকে ৩০ বছর ধরে হিসাব করা হবে। এভাবে আবেদনের যোগ্য বিবেচিতদের জন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।
প্রতিনিধি