পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করলেন শ্বশুর-শাশুড়ি। এ সময় নির্যাতিতা গৃহবধূর আড়াই বছর বয়সী ছেলে কাঁদতে থাকলেও নির্যাতন থামেনি। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে গতকাল শনিবার রাতে অভিযুক্ত শাশুড়ি আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উপজেলার আমারগাছিয়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূর নাম তানজিলা বেগম (২৬)। তিনি ওই এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী নাসির উদ্দিন মুন্সির স্ত্রী।
গতকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে আহত গৃহবধূ তানজিলা বেগমের বাবা ছিদ্দিক মীর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ মো. মাসুদুজ্জামান।
মামলায় আসামিরা হলেন- আহত গৃহবধূর শ্বশুর ধলু মুন্সি (৫৫), শাশুড়ি আলেয়া বেগম (৪৫) ও চাচা শ্বশুর নূর মোহাম্মদ।
আহত গৃহবধূর বাবা ছিদ্দিক মীর জানান, গত বৃহস্পতিবার তার মেয়ের সঙ্গে পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে তার শাশুড়ি আলেয়া বেগমের তর্ক হয়। এ সময় তার মেয়ের শ্বশুর ধলু মুন্সি তার মেয়েকে ধরে ঘরের সামনে উঠানে ছুঁড়ে মারেন। এরপর তাকে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুর মিলে মারধর করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনা তার ৮ বছরের নাতনি নারগিস মোবাইলে ভিডিও করে। পরে বিষয়টি তিনি জানতে পেরে শ্বশুর বাড়ি থেকে তার আহত মেয়েকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ওসি আ জ মো. মাসুদুজ্জামান, ঘটনা জানার পরপরই শনিবার রাতে আহত গৃহবধূ তানজিলার বাবা ছিদ্দিক মীর বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযুক্ত শাশুড়ি আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
সূত্র:আমাদেরসময়
প্রতিনিধি