লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে সংঘাত চলছে, অদূর ভবিষ্যতে তা সমুদ্র পথেও দেখা যাবে— এমনটাই আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের সঙ্গে বড় রকম সংঘাত সময়ের অপেক্ষামাত্র। এটা ধরে নিয়ে শুধু ভারত নয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তি তাদের ঘুঁটি সাজাচ্ছে।
জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি তারা ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল সম্পর্কে যে রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে, নয়াদিল্লির কাছে তা যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক। জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে নাম না-করে জলপথে চিনের একাধিপত্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
পাশাপাশি গোটা অঞ্চলে কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা আর সমন্বয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জার্মানি তথা ইউরোপ যে ভারতের উপর নির্ভর করছে, সেটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে যাতে রাষ্ট্রীয় সমন্বয় গড়ে ওঠে, সে জন্য বাড়তি নজর দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ভারত এবং জাপানের সঙ্গে সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, বিমস্টেক-এর মতো আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী, যেখানে ভারতের প্রাধান্য রয়েছে, সেগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বার্তা বিভাগ প্রধান