Home » মার্তিনেস-লুকাকুর নৈপুণ্যে ফাইনালে ইন্টার মিলান

মার্তিনেস-লুকাকুর নৈপুণ্যে ফাইনালে ইন্টার মিলান

দুই অর্ধে দারুণ দুটি গোল করলেন লাউতারো মার্তিনেস। শেষ দিকে জোড়া গোলের দেখা পেলেন রোমেলু লুকাকুও। দুই তারকা ফুটবলারের নৈপুণ্যে শাখতার দোনেৎস্ককে উড়িয়ে ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান।
জার্মানির ডুসেলডর্ফে সোমবার রাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৫-০ গোলে জিতেছে ইতালিয়ান দলটি। অন্য গোলটি করেন দানিলো দামব্রোজিও।

প্রতিযোগিতার রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়ার বিপক্ষে আগামী শুক্রবার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে আন্তোনিও কন্তের দল। রোববার প্রথম সেমি-ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনালে ওঠে সেভিয়া।

ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগেই এগিয়ে যায় ইন্টার। শাখতার গোলরক্ষকের ভুল পাসে বল পেয়ে যান নিকোলো বারেল্লা। খানিকটা এগিয়ে ডান দিক থেকে তার নেওয়া দারুণ ক্রসে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মার্তিনেস।

৩৫তম মিনিটে লুকাকুর ফ্লিক থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে সুযোগ নষ্ট করেন বারেল্লা।

বিরতির আগে প্রথম ভালো সুযোগ পায় শেষ আটে এফসি বাসেলকে ৪-১ গোলে হারানো শাখতার। তবে ডি-বক্সের বাইরে থেকে মার্কোস আন্তোনিওর জোরালো শট উড়ে যায় ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নিজের দ্বিতীয় গোল প্রায় পেয়ে যাচ্ছিলেন মার্তিনেস। শাখতারের রক্ষণের দুর্বলতায় বল পেয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে লাফিয়ে উঠে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক।

৬৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দামব্রোজিও। কর্নার থেকে আসা বলে হেডে জালে পাঠান এই ইতালিয়ান ডিফেন্ডার।১০ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করার পাশাপাশি ফাইনালের টিকেট একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন মার্তিনেস। ডি-বক্সের সামনে বল পেয়ে দারুণ শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।

৭৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান লুকাকু। মার্তিনেসের পাস থেকে গোলটি করেন এই বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড।

কোয়ার্টার-ফাইনালে বায়ার লেভারকুসেনের জালে বল পাঠিয়ে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা নয় ম্যাচে গোল করা লুকাকু রেকর্ডটা আরও বাড়িয়ে নিলেন।

তিন মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান তিনি। প্রায় মাঝমাঠের কাছে বল পেয়ে এগিয়ে গিয়ে একক নৈপুণ্যে গোলটি করেন ২৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার প্রতিযোগিতাটিতে তাদের সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৮ সালে। সমান তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা দলটির সামনে এক দশক পর আরেকটি ইউরোপীয় শিরোপার হাতছানি। সবশেষ তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে ২০০৯-১০ মৌসুমে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *