ওসমান আবির :কক্সবাজারের টেকনাফের সদর ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর (১৩) বছর বয়সী একজন ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবার ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর পরিবার জানায়, গত ৮ আগষ্ট বিকেল ৩টার দিকে তার বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়।এরপর গাড়ির জন্য উত্তর লেঙ্গুরবিলের রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন।এসময় স্থানীয় মোহাম্মদ ইসমাইল (২৩) নামের একজন যুবক তাকে জোরপূর্বক ইজিবাইক (টমটম) গাড়ীতে তুলে মুখে কাপড় পেঁচিয়ে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের দিকে নিয়ে যান।পরে উত্তর লম্বরীর নুরুল আবছারসহ দুইনজন মিলে ওই ছাত্রীকে নিরাপদে বাড়ী পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের ভিত্তিতে অন্যদিকে নিয়ে যান।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে ছাত্রীটিকে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে মারধর করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।একপর্যায়ে সে অচেতন হয়ে পড়লে দুইজনেই পালিয়ে যান।জ্ঞান ফেরার পর মুমূর্ষ অবস্থায় মেয়েটি ঘটনাস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অন্ধকারে দেখা হয় একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আমিনের সাথে।ওই ব্যক্তিকে চেনার সুবাদে মেয়েটি তাকে বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করে বাড়ি ফিরার জন্য তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।সে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে অজ্ঞাত একটি খালি বাড়ির পাশে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ফের ধর্ষণ করেন।একপর্যায়ে অভিযুক্ত আবদুল আমিন উত্তর লেংগুরবিল এলাকার মোহাম্মদ হোছাইন ওরফে অলু নামের এক ব্যক্তির নিকট মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মূমুর্ষ অবস্থায় ছাত্রীটিকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ছাত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।
হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রীর পরিবার ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে গত বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশের একটি দল ওই ছাত্রীর পরিবারের কাছে ছুটে যান এবং ঘটনার খোঁজখবর নেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সাল জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল বুধবার রাতে ছাত্রীর পরিবারের কাছে ছুটে যান।আজ সকালে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।তবে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য ছাত্রীটিকে চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।আশা করছি, স্বল্পসময়ের মধ্যেই সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
টেকনাফ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে বের করার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রঃসিএন নিউজ
নির্বাহী সম্পাদক