Home » চৌহাট্টায় বোমাতঙ্ক : রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ

চৌহাট্টায় বোমাতঙ্ক : রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে পুলিশ সার্জেন্টের মোটরসাইকেলে রাখা ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’ ঘিরে বোমাআতঙ্ক ছিল প্রায় দুই দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাবাহিনীর ‘উদ্ধার অভিযানের’ মধ্য দিয়ে কাটে সেই আতঙ্ক। মূলত: সে বস্তুটি বোমা ছিলো না, ছিলো একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন (টাইলস ও রড কাটার যন্ত্র)।

এদিকে, এই মেশিনটি সেই মোটরসাইকেলে রাখার উদ্দেশ্য এবং কে বা কারা রাখলো এ বিষয়গুলোর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে সিলেট মহানগর পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তথ্যটি আজ শুক্রবার (৭ আগস্ট) জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম।

তিনি জানান, কে বা কারা ওই গ্রাইন্ডিং মেশিনটি পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে রেখেছে এবং কোন উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এসব তদন্ত করছে।

এক্ষেত্রে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরাগুলোর ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

কবে এর রহস্য উদঘাটন হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম বলেন, এটি আসলে এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষ হলেই প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইডু তার পালসার (ঢাকা মেট্রো ১৪-৯২৭০) মোটরসাইকেলটি চৌহাট্টা পয়েন্টে পুলিশ বক্সের পাশে রেখে তিনি পার্শ্বস্থ একটি দোকানে যান। দোকান থেকে ফিরে মোটরসাইকেলের সঙ্গে লাল রঙের একটি বস্তু বাধা দেখতে পান। বিষয়টি তাঁর কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিনি জানান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।

পরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওই মোটরসাইকেলে ঘিরে ফেলে। মুহুর্তেই চৌহাট্টা পয়েন্টে মোটরসাইকেলে বোমা রাখা হয়েছে বলে আশপাশ এলাকাসহ সারা সিলেটে গুঞ্জণ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) ও র‌্যাব-৯ এর টিমও দ্রুত আসে। বন্ধ করে দেওয়া হয় চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়কে যান চলাচল।

সিলেট মহানগর পুলিশে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট না থাকায় খবর পাঠানো হয় ঢাকায়। পুলিশের সদর দপ্তর থেকে চৌহাট্টা পয়েন্টে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও বোমা ধ্বংসকরণ টিম পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয় সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরকে। সেনা সদর দপ্তর নির্দেশনা পাঠায় সিলেটস্থ ১৭ পদাতিক ডিভিশনকে।

এ ডিভিশনের বোমা বিশেষজ্ঞ লে. কর্ণেল রাহাত, লে. কর্ণেল খালেদ, ক্যাপ্টেন নূর, ক্যাপ্টেন গালিবসহ একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে। শুরু হয় তাঁদের অভিযান। এক পর্যায়ে বোমাসদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর জানা যায়, এটি আসলে বোমা নয়, একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *