অনলাইন ডেস্ক : এ যেন ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার সেই দৃশ্য! কীভাবে প্রসব করাতে হবে ভিডিওকলে তার নির্দেশ দিচ্ছেন চিকিৎসক। আর পরিবারের সকলে মিলে অন্তঃসত্ত্বাকে প্রসব করাতে সাহায্য করছেন। রূপালি পর্দায় প্রবল বৃষ্টির জন্য হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি অন্তঃসত্ত্বা। আর এখানে করোনা কাঁটায় মিলল না অ্যাম্বুলেন্স। তবে এগিয়ে এলেন প্রতিবেশীরা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকে।
জুলাইয়ের শেষদিকে ভারতের কিট্টুর চেন্নাম্মা স্ট্রিটের বাসবী পাথেপুরের সন্তানের জন্ম হওয়ার কথা ছিল। রোববার দুপুর আড়াইটর দিকে আচমকা তার প্রসববেদনা শুরু হয়। লকডাউনের কারণে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি।
জানা গেছে, এক নার্স কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় হানাগাল তালুক হাসপাতাল সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করা যায়নি। কিন্তু এই সময় মানবিকতার নজির গড়লেন প্রতিবেশীরা। তার চিত্কার শুনে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। এরপরের গল্পটা যেন থ্রি ইডিয়টসের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।
যে প্রতিবেশীরা সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে একজন হানাগালের বাসিন্দা জ্যোতি মাডি। বেঙ্গালুরুতে কর্মরত জ্যোতি তাঁর প্রতিবেশী ডা. প্রিয়াঙ্কা মানতাগিকে ফোন করেন। প্রিয়াঙ্কা হুব্বালির কেএমসিতে করছেন। প্রিয়াঙ্কা সব শুনে ভিডিও কলে নির্দেশ দিতে শুরু করেন।
সঙ্গে বাসবীকেও সাহস জোগাতে থাকেন। ভিডিওকলে ডাক্তারের নির্দেশ মেনে কাজ করতে শুরু করেন তারা। অবশেষে একটি সুস্থ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বাসবী।
জ্যোতির জানান, ডা. প্রিয়াঙ্কা সাহায্য করায় আমরা দুটো জীবন বাঁচাতে পেরেছি। এর আগে আমাদের কারও প্রসব করানোর অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে ডাক্তারের সাহস জোগানোর জন্যই আমরা এটা করতে পেরেছি। তবে থ্রি ইডিয়টসের মধ্যে গল্পে কোনও টুইস্ট ছিল না। বরং স্বাভাবিক প্রসবের পর মা ও এবং সদ্যোজাত দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।
প্রতিনিধি