ডেস্ক নিউজ : রাজশাহীতে ফের দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নগরের চন্দ্রিমা থানার মুসরইল এলাকার একটি লিচু বাগানে ধর্ষণের শিকার ওই নারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি রয়েছেন।
তবে এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের কারণে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে খুলনা থেকে ওই নারী রাজশাহী এসেছিল বলে জানান চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবির।
তিনি বলেন, গত ২ মে সকালে ওই নারী থানায় গিয়ে জানায় সে ধর্ষনের শিকার হয়েছে। চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির হেফাজতে দেয়া হয়।
ওসি হুমায়ন বলেন, ওই নারীর বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। তাদের খবর দেয়া হয়েছে। শুক্রবার তাদের রাজশাহীতে আসার কথা রয়েছে। তার বাবা-মা আসার পর মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান ওসি।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগের বরাদ দিয়ে ওসি হুমায়ন আরও জানান, মুসরইলের রং মিস্ত্রি গাজু মিয়ার ছেলে আকাশের সঙ্গে ওই নারীর মোবাইল ফোনে পরিচয় ঘটে। সে পরিচয়ের জের ধরে গত ১ মে ওই নারী রাজশাহীতে আসে। দুপুরে আকাশের দুই বন্ধুর সঙ্গে ওই নারী গাজু মিয়ার বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে ওই নারী আকাশের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কে কথা জানায় এবং বিয়ের প্রস্তুাব দেয়। কিন্তু আকাশের বাবা-মা এতে রাজি না হয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আকাশের দুই বন্ধু ওই নারীকে নিয়ে চলে যায়। রাতে স্থানীয় একটি লিচু বাগানে রেখে রাতভর ধর্ষণ করা হয় বলে ওই নারীর অভিযোগ।
এ ঘটনার সঙ্গে তার ছেলে জড়িত ছিল না বলে দাবি করে আকাশের বাবা গাজু মিয়া বলেন, ওই মেয়ের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। আর তার ছেলে আকাশের বয়স ১৫ বছর। সে নবম শ্রেণীর ছাত্র।
গাজু মিয়া বলেন, আকাশের দুই বন্ধু ওই মেয়েকে রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে নিয়ে যায়। সে তার বাড়িতে গিয়ে আকাশের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তবে তার ছেলে জানায় ওই মেয়ের সঙ্গে তাদের তিন বন্ধুর মোবাইল ফোনে কথা হয়। কিন্তু তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়নি। এছাড়াও ওই মেয়ের চেয়ে তার ছেলের বয়স অর্ধেকের কম। তাই তাদের দুপুরে খাওয়ানোর পর বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়। আকাশের দুই বন্ধু ওই মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। এর পর কি হয়েছে সে ব্যাপারে তার কিছু জানা নেয়। তবে পরের দিন চন্দ্রিমা থানার ওসি তাকে জানিয়েছে ওই মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ছোট ভাইকে বেঁধে রেখে এক কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ওই কিশোরী কাজের সন্ধানে রাজশাহী এসেছিল। বাড়িতে কাজ দেয়ার নাম করে রেল স্টেশন থেকে ওই কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ চার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।
নির্বাহী সম্পাদক
