টানা ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে নেওয়া হয়েছে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে। আজ রবিবার (২৬ জুলাই) সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয় তাঁকে।
আদালতে সাহেদের আরো ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে প্রতারণা মামলায় গত ১৬ জুলাই সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই রিমান্ড আজ রবিবার (২৬ জুলাই) শেষ হয়েছে।
করোনা রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত সোমবার (৬ জুলাই) রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব। এতে করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মেলে। অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় অভিযানে।
পরদিন মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ১৫ জুলাই সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের প্রতারণা কাজের অন্যতম সহযোগী রিজেন্ট গ্রুপের এমডি এবং রুজুকৃত মামলার দুই নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাতে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমানকে।
সূত্র:কালের কন্ঠ
প্রতিনিধি