সিলেট বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন হত্যার সাথে জড়িত এজহারভুক্ত ৬ আসামীসহ ১১জনকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ । তার মধ্যে সন্দিগ্ধ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর একটি দল।
ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব সোহেল রেজা বিশেষ কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দেন। জনাব সোহেল রেজার নির্দেশনায় দক্ষিণ সুরমার নব নিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেন থানার চৌকস অফিসার ফোর্সদের নিয়ে আসামী গ্রেফতারে সাড়াসি অভিযান চালান।
পুলিশের বিচক্ষণতায় একে একে গ্রেফতার হতে থাকে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কুশীলবরা। মামলা রুজুর দিনেই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় এজহারভুক্ত আসামী নোমান আহমেদ ও সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ আতাউর রহমানকে। তার পর গ্রেফতার করা হয় দুষ্কৃতকারীদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা চালক মোঃ তারেক আহমদ ও র্যাব-৯ গ্রেফতার করে সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ ওমর খইয়াম কে। তাছাড়া ৬ নং আসামী সেবুল হাসান কে মৌলভীবাজার থেকে আটক করা হয়।
পুলিশের ব্যপক তৎপরতায় পালানোর সকল রাস্তা বন্ধ হওয়ায় আদালতে এসে সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে রিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ এজাজুল হক এবং দ্বিতীয় আসামী মোঃ রেজুয়ান হোসেন রিমু। এক ও দুই নং এবং সন্দিগ্ধ আসামী তারেক আহমদ হত্যার সাথে জড়িত মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান আছে বলে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেন।
প্রতিনিধি