হংকংকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনলে চীনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ব্রিটেন। সোমবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিবের এই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লন্ডনকে পাল্টা হুমকি দিল বেইজিং।
ব্রিটেন এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তারা পাল্টা আক্রমণ চালাতে বাধ্য হবে বলে এদিন জানিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেইজিং স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ব্রিটেন যেন হংকংয়ের উপর উপনিবেশিক প্রভাব খাটানোর কল্পনাবিলাসিতা না দেখায়।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলও চীন সরকারের হংকংকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার মতো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব। এই পঙক্তি সর্বাগ্রে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন আমেরিকা। চীনের এই আইন নিয়ে ঘোরতর বিরোধিতায় নেমেছে ব্রিটেনও।
হংকং এক সময় ব্রিটেনেরই উপনিবেশ ছিল। এই প্রসঙ্গেই সোমবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডোমিনিক রাব পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেইজিংয়ের উদ্দেশে বলেন, ‘‘চীন হংকংয়ের উপর জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে হংকংয়ের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি স্থগিত করা হবে। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হতে পারে।’’
রাব জানিয়ে দেন, স্পষ্ট এবং দৃঢ় রক্ষাকবচ দেওয়া না হলে বন্দি বিনিময় থমকে যেতে পারে। চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাব।
ব্রিটেনের এই মন্তব্যে যেন আগুনে ঘি পড়েছে। প্রত্যুত্তরে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘‘ইউনাইটেড কিংডমের কোনও ভ্রান্ত পদক্ষেপের জন্য পাল্টা আক্রমণ চালাতে বাধ্য হবে চীন।’’
এর সঙ্গেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘চীন ইউনাইটেড কিংডমকে আর্জি জানাচ্ছে, তারা যেন হংকংয়ে উপনিবেশিক প্রভাব খাটানোর কল্পনা না করে এবং তারা যেন দ্রুত ভুল শুধরে নেয়।’’
দীর্ঘকাল ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল হংকং। ১৯৯৭ সালে চীনের দখলে আসে। চলতি মাসে ওই একই ইস্যুতে হংকংয়ের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার মতো দেশগুলো। হংকংয়ের সঙ্গে নির্দিষ্ট আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন
প্রতিনিধি