অনলাইন সংস্করণ: বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদেশগামীদের কাছে ভুয়া ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ বিক্রি করা সিলেটের সেই চিকিৎসক শাহ আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে দ্বিতীয় দফায় তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে।
প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে চার মাসের সাজা পাওয়ার একদিনের মাথায় ওই চিকিৎসকের শরীরে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো। ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার পরিচয় দিয়ে (সরকারি চিকিৎসকের ভুয়া পদবি) করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ প্রদানের অভিযোগ ওঠে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত রোববার সন্ধ্যায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
আগের দিন শনিবার চিকিৎসক শাহ আলমের শরীরের নমুনা সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য দিলে সোমবার রাতে পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে।
এর আগে গত ১৩ জুলাই প্রথমবার করোনা পরীক্ষায় ডা. শাহ আলমের করোনা শনাক্ত হয়। করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরও তিনি নগরের মধুশহীদ এলাকায় ঢাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচ তলায় রোগী দেখতেন। এ ছাড়া বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে ভুয়া ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ বিক্রি করে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাসের ভুয়া নেগেটিভ সনদ দেওয়া, নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়েও চেম্বারে রোগী দেখা এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচয় ব্যবহার করার অপরাধে ডা. এ এইচ এম শাহ আলমের চেম্বারে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে অভিযান চালায় র্যাব-৯ এর একটি দল।
এ সময় ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং চার মাসের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের সাজা দেওয়া হয়। এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
সাজা প্রদানের পর সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় বলেছিলেন, ডা. শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।
প্রতিনিধি