শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির বিস্তারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।
সোমবার (২০ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত সূচি প্রকাশ করা হয়।
এর আগের দিন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে এক অনলাইন সভায় আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে ৯ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। তবে জাতীয় শোক দিবসে অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে।
প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট রাত ৮টায়। শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ১ম পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে) করতে হবে ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৩১ আগস্ট থেকে চলবে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত।
পছন্দের ক্রম অনুসারে ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবদনের ফল প্রকাশ হবে একই দিন (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টাতেই।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থেীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ২য় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে) ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর।
পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল এবং ৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ৩য় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে) ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত।
আর কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায়।
ভর্তি চলবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ৫টি কলেজে পছন্দক্রম অনুসারে আবেদন করতে হবে। তবে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম অনুসারে আবেদন করতে পারবে। মেধা এবং পছন্দক্রম অনুসারে নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হবে।
শিক্ষার্থীদের http://www.xiclassadmission.gov.bd থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আর নগদ, সোনালী ব্যাংক, টেলিটক, বিকাশ, শিওর ক্যাশ এবং রকেটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা যাবে।
একাদশে ভরির্তর জন্য সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর জুনের প্রথম সপ্তাহে একাদশে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সম্মিলিত পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭২ জন।
দশটি বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। উত্তীর্ণরাই কলেজে অনলাইনে ভর্তি হওয়ার আবেদন করবে।
গত কয়েক বছর ধরে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে। এবারও শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি করানো হবে।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার, কয়েক দফা বাড়ানোর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
অন্যদিকে, ২৬ মার্চ হতে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
প্রতিনিধি