সিলেটের সেই জালিয়াত চিকিৎসকের ঠাঁই হয়েছে কারাগারে। সরকারি চিকিৎসকের ভুয়া পদবী ব্যবহার ও করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানের অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় এ. এইচ. এম শাহ আলম নামের ঐ চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ৪ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
এরপরই তাকে সরাসরি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় তাকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড প্রদান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম। তিনি জানান, ডা. শাহ আলম মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রবাসীদের করোনার সার্টিফিকেট দিতেন। ভুয়া পদবি ব্যবহার করে রোগীদের বিভ্রান্ত করতেন। তাই রবিবার রাতে তাকে আটক করা হয় এবং অর্থদন্ড ও কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এরপর তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ডা. শাহ আলমের কাছ থেকে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট নেয়া ভূক্তভোগী প্রবাসী দম্পতির ভাতিজা আনোয়ার হোসেন জানান, ১০ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেসে গেলে তার চাচা-চাচীর কাউকেই পর্যবেক্ষণ না করেই নন-কোভিড সার্টিফিকেট দেন এ চিকিৎসক।
তিনি জানান, এই সার্টিফিকেটে কাজ না হওয়ায় ঢাকার একটি বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে নমুনা দিয়ে পরীক্ষা শেষে সনদ নিয়ে ১২ জুলাই এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যুক্তরাষ্ট্রে যান এই দম্পতি। এ নিয়ে রবিবার একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। মূলত এ রিপোর্ট ও অভিযোগের ভিত্তিতেই মোবাইল কোর্ট তার চেম্বারে হানা দেয়।
প্রতিনিধি