নিজস্ব প্রতিবেদন: সিলেটে আলোচিত শ্রমিক নেতা ইকবাল হোসেন রিপন হত্যায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯ ও পুলিশ। গত ১০ জুলাই রাত ১০টায় দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে খুন হন ইকবাল। খুনের পরপরই পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। হত্যার ৯ দিনের সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৮ আসামীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশের চৌকস দল।
সর্বশেষ আজ রোববার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বরইকান্দি থেকে কুখ্যাত আসামী মনির আহমদ ওরফে ইমন ও আয়নুল হককে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। ইমন বরইকান্দি ১নং রোডের মৃত ফারুক মিয়ার পুত্র ও আয়নুল হক বি-বাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার ডরমন্ডল গ্রামের সামছুল হকের পুত্র। তিনি বরইকান্দি ১নং রোডে আফজল মিয়ার কলোনীতে ভাড়ায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়- আসামী মনির আহমদ ওরফে ইমন এর বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় ৪৬টি মামলা রয়েছে।
গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৬টায় ছাতক থানার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান মিন্টু ও রাত ১০টায় মোগলাবাজার থানার দাউদপুর থেকে ইসমাইল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিন্টু দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দির ১নং রোডের মৃত বশির মিয়ার পুত্র ও ইসমাইল একই এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার পুত্র।
এর আগে ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে ইকবাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সেজুল (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
ঘটনার পরপর পুলিশ এজাহারনামীয় আসামী নোমান আহমদ ও ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাদ্দাম হোসেন এবং মো: তারেক আহমদ’কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। পরে ১৫ জুলাই আসামী মো. তারেক আহমদ দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে।
এই হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা ১৩ জনের নাম উলেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং-০৯, তাং- ১১/০৭/২০২০খ্রি:, ধারা-১৪৩/৩০২/৩২৬/৩০৭/১১৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন জানান, বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন করতে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
উলেখ্য; গত ১০ জুলাই রাত ১০টায় দক্ষিণ সুরমা থানার বাবনা পয়েন্টে বাবনা রেষ্টুরেন্টের সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে সিলেট বিভাগীয় ট্যাংক লরির শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন রিপন’কে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তার সঙ্গীয় বাবলা তালুকদারকে কুপিয়ে আহত করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। দুষ্কৃতিকারীগন ঘটনা ঘটিয়ে অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত শ্রমিক নেতা মো: ইকবাল হোসেন রিপন’কে লোকজন চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান