সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন (৪৫) তার ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান জারিন ট্রেডার্স, তেলের দোকান বন্ধ করে উক্ত মার্কেটের মালিক বাবলা আহমেদ তালুকদারের মটরসাইকেল যোগে উভয়ে নিজ নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রাত অনুমান ২২:০৫ ঘটিকার সময় দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বাবনা পয়েন্টের স্টেশন রোডস্থ বাবনা রেষ্টুরেন্টের সামনে পৌঁছা মাত্রই পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুস্কৃতিকারীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে ইকবাল হোসেন রিপন’কে পিছন দিক হতে হামলা চালায়।
দুস্কৃতিকারীরা ধারালো রামদা দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ইকবাল হোসেন রিপন’কে উপর্যুপরি কোপ মারলে, তিনি গুরুতর জখম প্রাপ্ত হন। তখন তার সঙ্গীয় বাবলা আহমদ তালুকদারকেও দুস্কৃতিকারীরা ধারালো ছুরি দ্বারা আঘাত করলে তার ডান কাঁধের পার্শ্বে
মারাত্মক জখম হয়। বাবলা আহমদ আঘাত প্রাপ্ত হয়ে প্রাণে বাঁচার জন্য ক্বীন ব্রিজের দিকে দৌড়ে কমার্শিয়াল বিল্ডিং এর ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে ইকবাল হোসেন রিপন (৪৫) প্রাণে রক্ষার জন্য দৌড়ে ষ্টেশন রোডের রেল
গেইটের দিকে সিতারা হোটেলের সামনে যাওয়া মাত্রই দুস্কৃতিকারীরা তাদের হাতে
থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারলে, তিনি গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সিএনজি অটোরিকশা যোগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ইমার্জেন্সি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ইকবাল হোসেন রিপনকে মৃত ঘোষনা করেন। তার অপর সঙ্গী বাবলা আহমেদ তালুকদার বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলা, ৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার বিষয়ে মৃতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় ১৩ (তের) জনের নাম উল্লেখ পূর্বক এজাহার দায়ের করেন। যার
প্রেক্ষিতে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার পর পরেই
দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলার এজহারভুক্ত আসামী
নোমান আহমদ (৩৫) পিতা- মৃত মাসুদ আহমদ কবির, সাং- বরইকান্দি, ১নং রোড, থানা-
দক্ষিণ সুরমা, জেলা- সিলেট ও সন্দিগ্ধ আসামী মো: আতাউর রহমান সাদ্দাম (৩০) পিতা- মৃত বশির মিয়া,
সাং- বরইকান্দি ১নং রোড, কাজিরখলা, থানা- দক্ষিণ সুরমা, জেলা- সিলেট’কে তাদের
নিজ বসত বাড়ী হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে
সোপর্দ করা হচ্ছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ নিশ্চিত করেছেন ।

প্রতিনিধি