এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে মৃত্যুর ৯ দিন পর। অর্থাৎ ১৫ জুলাই। কারণ, ১৪ জুলাইয়ের আগে শিল্পীর একমাত্র মেয়ে সংজ্ঞা অস্ট্রেলিয়া থেকে রাজশাহী ফিরতে পারছেন না। করোনার কারণেই তার উড়ে আসতে এই বিলম্ব।
এসব তথ্য জানান প্রয়াত এই শিল্পীর বোন জামাই ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণেই ওদের দেশে ফিরতে সমস্যা হচ্ছে। ফ্লাইট ও টিকিট ম্যানেজ করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তবে বুধবার (৮ জুলাই) এন্ড্রু জুনিয়র সপ্তক দেশে ফিরবেন। কিন্তু মেয়ে সংজ্ঞার ফিরতে দেরি হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি ১৪ জুলাই সে ফিরতে পারছে। তার ফেরার পরপরই ১৫ জুলাই ধর্মীয় আচার মেনে শিল্পীকে সমাহিত করার প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।’
তার আগ পর্যন্ত শিল্পীর মরদেহ রামেক হিমঘরেই থাকছে।
ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস জানান, ১৫ জুলাই সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ। তবে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। এখানেও মূল বাধা করোনা সংক্রমণ।
এদিকে এন্ড্রু কিশোরের ইচ্ছে অনুযায়ী তার মায়ের পাশেই সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে শিল্পীর ভগ্নীপতি প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস বলেন, “২০১৭ সালেই এন্ড্রু কিশোর আমাকে বলে গেছেন। পরে পরিবারে অন্যদের কাছেও বিষয়টি সম্পর্কে বলেছেন। আমাকে যা বলেছেন তা স্পষ্ট এখনও মনে আছে। ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর ছিল দিনটি। আমরা পরিবারের সদস্যরা প্রার্থনার জন্য রাজশাহী গ্রেভইয়ার্ডে তখন। হঠাৎ এন্ড্রু কিশোর আমার কাছে এসে বলেন, ‘দাদা, পৃথিবীর যেখানেই আমি মারা যাই, অবশ্যই আমাকে রাজশাহীর এই গ্রেভইয়ার্ডে মায়ের সমাধিস্থলে রাখবেন। দূরে রাখবেন না।’’
টানা ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন-ভগ্নীপতির হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এন্ড্রু কিশোর। পরে রাত ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
সুত্র: বাংলাট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান