৩৫ বছর বয়সী নারী দেবেন্দ্রী। পাঁচ সন্তানের মা তিনি। ভারতের উত্তর প্রদেশে বসবাসকারী নারীর মৃত্যু হয় স্থানীয় এক ওঝার মনগড়া চিকিৎসায়।
২ মে দ্য মিররের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রান্নার জন্য জঙ্গলে লাকড়ি খুঁজতে গিয়েছিলেন দেবেন্দ্রী। সেখানেই তাকে সাপে কাটে। স্ত্রীকে বাঁচাতে প্রথমে তার সাপে কাটা হাত মোটা শক্ত দড়ি দিয়ে টাইট করে বেঁধে দেন স্বামী মুকেশ। এরপর সাপে কাটা স্থানে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উপাদানের গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে থাকেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয় না, বরং মুকেশের স্ত্রী আরও লুটিয়ে পড়তে থাকেন মৃত্যুর দিকে। উপায় না দেখে মুকেশ ছুটে যান সেখানকার এক ওঝার কাছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশে এক প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করেন বিধায় মুকেশের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জ্ঞান অনেক কম। এর চেয়ে ওঝা ও জাদুটোনার প্রতিও তার আস্থা অনেক বেশি।
এদিকে ওঝার প্রতি মুকেশের এমন অন্ধ বিশ্বাস দেখে সুযোগটি লুফে নেন সেই ওঝা। ইচ্ছেমতো মনগড়া চিকিৎসা চালান সাপে কাটা দেবেন্দ্রীর ওপর। প্রথমেই তিনি দেবেন্দ্রীকে গোবর দিয়ে ঢেকে দিতে বলেন।
ওঝাকে বিশ্বাস করে মুকেশ স্ত্রীকে গোবর দিয়ে ঢেকে দেন। সেই সময় দেবেন্দ্রীর আশপাশে সবাই অপেক্ষা করতে থাকেন, এই বুঝি গোবরের নিচ থেকে বের হয়ে সুস্থ হয়ে ফিরবেন দেবেন্দ্রী। কিন্তু এটা যে একটা ভণ্ডামি ছিল, তা বুঝতে পারেনি মানুষ। অবশেষে ৭৫ মিনিট পর গোবরের নিচে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান পাঁচ সন্তানের মা দেবেন্দ্রী। আর মুকেশ হারান তার স্ত্রীকে।
ব্যাপারটি সম্পর্কে সেখানকার স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা গণমাধ্যমকে জানান, ব্যাপারটি সম্পর্কে সেই থানার পুলিশ কর্মকার্তারা কিছুই জানেন না। কারণ তাদের কাছে এখনো সেই গ্রামের কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি।
নির্বাহী সম্পাদক