প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে এরই মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে না পারায় বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
এমন অবস্থায় করোনাভাইরাসের বাতাসে ছড়ানোর বর্তমান ‘অফিশিয়াল তথ্য’ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করেছেন দুই শতাধিক বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, বাস কিংবা ছোট রুমের মতো চাপা জায়গায় এই ভাইরাস ৬ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে!
‘এ বিষয়ে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত,’ মন্তব্য করে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গবেষক লিডিয়া মোরাওস্কা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করতে খোলা চিঠি লিখছি। ৩২ দেশের ২৩৯ জন গবেষক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। এটি সামনের সপ্তাহে জার্নালে প্রকাশ করা হবে।’
করোনাভাইরাস বাতাসে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে বা বাতাসে কতদূর ভ্রমণ করতে পারে, সে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন মত শুরু থেকেই ছিল।
শুরুতে বলা হচ্ছিল বাতাসে ভাইরাসটি কয়েক মিনিটের বেশি বেঁচে থাকে না। তবে পরে কিছু কিছু গবেষণার প্রতিবেদনে জানানো হয় যে ভাইরাসটি বাতাসে প্রায় কয়েক ঘণ্টার মতো বেঁচে থাকতে পারে-যদিও এই গবেষণার ফল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত নয়।
পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে বলা হয়, বাতাসে ভাইরাসটি এক-দুই মিনিটের বেশি ভেসে থাকতে পারে না। এটি ধরে নিয়েই স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা দিচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজন ব্যক্তি যদি কোনও একটি জায়গায় হাঁচি বা কাশি দিয়ে চলে যায় এবং পরমুহুর্তে সেই জায়গায় আরেকজন এসে বসে, তাহলে হয়তো পরের ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারেন। তবে দুই-তিন মিনিট পর ওই জায়গায় গেলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম।
তবে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির ড্রপলেট যেখানে পড়েছে, সেখানে স্পর্শ করার মাধ্যমে আরেকজন ব্যক্তির দেহে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে।
আবার আবহাওয়াভেদেও বাতাসে ভাইরাসের উপস্থিতির সময়ে তারতম্য হতে পারে। একদম বাতাস না থাকলে সেখানে ভাইরাসের উপস্থিতি বেশিক্ষণ থাকা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব, তবে এর পরিমাণ এতই সূক্ষ্ম যে সেটিকে উপেক্ষা করা সম্ভব। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
প্রতিনিধি