ডেস্ক নিউজ : গাজীপুরে শুটিংয়ে এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে পরিচালক মিজানুর রহমান শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে ওই পরিচালকের সদস্য পদ স্থগিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন।
ঘটনার বিবরণে জয়দেবপুর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সেতু (ছদ্ম নাম) নামের একটি মেয়ে আমাদের থানায় এসে অভিযোগ করে যে গত ২৩ এপ্রিল তাকে শুটিং চলাকালে ধর্ষণ করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল শুক্রবার মেয়েটি থানায় এসে অভিযোগ করে। শনিবার ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন আমরা মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। মামলার এজাহারে মেয়েটি জানিয়েছে যে মেয়েটিকে নাটক ও ফিল্মে অভিনয় করার প্রস্তাব দেয় পরিচালক। পরে তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গাজীপুরের নীলেরপাড়ায় ভাড়াকৃত এক শুটিং স্পটে যায়। সেখানে অন্য শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় শুরু করে। ২৩ এপ্রিল শামীম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার পর কিশোরী কৌশলে ওই স্পট থেকে বের হয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানায়। এ ঘটনার পর কিশোরী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে গত শুক্রবার ২৭ এপ্রিল মামলা দায়ের করে।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার বিলচতরা এলাকায়। বর্তমানে সে বোন ও ভাগিনাদের সঙ্গে ঢাকার সাভার থানার ফুলবাড়ি শোভাপুর এলাকায় ভাড়ায় থেকে মডেলিংয়ে কাজ করে। মামলার প্রধান আসামি গাজীপুর জেলা শহরের বিলাশপুর (বাসস্ট্যান্ডের উত্তরে) এলাকার বাসিন্দা মো. তোরাব আলীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান শামীম (৫৩)। তাঁর অন্য সহযোগীরা হলেন- আতিক (৩০) ও মো. মামুন (২৬)। ধর্ষণের সময় শামীমের সহকারী আতিক ও ক্যামেরাম্যান মামুন ঘরের বাইরে দরজায় পাহারা দিয়ে ধর্ষণে সহযোগিতা করেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি আমি শুনেছি, জয়দেবপুর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা এরই মধ্যে পরিচালক সমিতিতে কথা বলেছি। আগামী মিটিংয়ে শামীমের সদস্য পদ স্থগিত করা হবে। এ ধরনের কাজকে আমি ধিক্কার জানাই। এমন সব পরিচালকের জন্য ভালো ঘরের ছেলেমেয়েরা চলচ্চিত্র কাজ করতে ভয় পায়। তা ছাড়া শামীম আমাদের চলচ্চিত্র সমিতির সদস্য হলেও সমিতিতে তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। সে কিসের কাজ করছিল আমরা তা জানি না। তবে সে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে না এটা সত্য। কারণ চলচ্চিত্র শুরু করার আগে অবশ্যই আমাদের পরিচালক সমিতিতে নাম নিবন্ধন করানো হয়। তার নামে কোনো নিবন্ধন করা নেই।’
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো কেন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না- জানতে চাইলে জয়দেবপুর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে পারব।’সূত্র : এন টিভি
নির্বাহী সম্পাদক