লিগজয়ের ‘হ্যাটট্রিক’ যে করা হচ্ছে না, সেটা বোঝা হয়ে গিয়েছিল আগেই। সিটির মাথা থেকে সে মুকুটটা কিছুদিন আগেই নিয়ে নিয়েছে লিভারপুল। কিন্তু লিগ হারিয়ে পেপ গার্দিওলা রেগেমেগে দলের শক্তিমত্তা আরও বাড়াবেন কী, উল্টো হারিয়ে বসলেন গুরুত্বপূর্ণ এক রত্নকে। দলের জার্মান উইঙ্গার লিরয় সানে যোগ দিচ্ছেন বায়ার্ন মিউনিখে। বিভিন্ন বোনাস মিলিয়ে মোটামুটি সাড়ে পাঁচ কোটি পাউন্ডে বায়ার্নে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
সানে যে ক্লাব ছাড়বেন, সেটা এক মৌসুম আগে থেকেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তির আর মাত্র এক বছর থাকা এই জার্মান উইঙ্গার কোনোভাবেই গার্দিওলার দলের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছিলেন না। উল্টো জাতীয় দলের সতীর্থ সার্জ নাব্রি, নিকলাস সুলে, লিওন গোরেৎস্কা, ইয়োশুয়া কিমিখদের সঙ্গে বায়ার্নে তারুণ্যের নতুন ঝাণ্ডা ওড়ানোর দিকেই নজর ছিল তাঁর। এক বছর আগেই হয়তো ক্লাব ছাড়তেন, কিন্তু বাধ সেধেছিল সতীর্থ রিয়াদ মাহরেজের চোট। কিছুদিন পর সানে নিজেও হাঁটুর চোটে পড়ে বহুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। অবস্থা দেখে বায়ার্ন চেয়েছিল আরও কম দামে সানেকে দলে আনতে, যেহেতু চুক্তির আর মাত্র এক বছর বাকি আছে। কিন্তু সিটি দাম কমাতে রাজী হয়নি। শেষমেশ তাই বায়ার্নকেই তখন সিটির দাবী মেনে নিতে হয়েছে।
জার্মান ক্লাব শালকে ০৪ থেকে তিন কোটি ৩৭ লাখ পাউন্ডের বিনিময়ে ২০১৬ সালে সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন সানে। এসেই আলো ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন চোট ও আচরণগত সমস্যা মিলিয়ে কখনই পেপ গার্দিওলার একাদশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেননি। উল্টো তাঁকে টপকে কোচের আস্থাভাজন রয়েছেন রাহিম স্টার্লিং, বার্নার্দো সিলভা ও রিয়াদ মাহরেজ। চুক্তি সংক্রান্ত ঘটনায় গার্দিওলাকে রাগিয়েও দিয়েছিলেন এই খেলোয়াড়। এমনকি নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য গার্দিওলার পছন্দের ডাক্তার র্যামন কুগারের কাছে না গিয়ে বায়ার্নের চিকিৎসকের কাছে যেতেন সানে। সব মিলিয়ে গার্দিওলা ও সানের সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছিল।
শোনা গেছে, বায়ার্নের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করছেন সানে। বায়ার্ন থেকে এই সময়ে অন্য কোন ক্লাবে গেলে সেই ট্রান্সফার ফি’র ১০% যাবে সিটির পকেটে। আর সানে থাকাকালীন লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে সিটিকে আরো এক কোটি পাউন্ড দেবে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রতিনিধি