করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে ভারতের রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি এমনিতেই নাজুক। এই অবস্থার মধ্যে শনিবার দুপুরে দক্ষিণ দিল্লিতে কয়েক কোটি পঙ্গপাল হানা দিয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে পঙ্গপাল অবস্থান করছিল নয়া দিল্লির উপকণ্ঠ গুরুগ্রামে অবস্থান করছিল এই পঙ্গপাল। দুপুরের দিকে তা ছতরপুরের আকাশ ছেয়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন এখবর জানিয়েছে।
দিল্লি রাজ্য সরকারের পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই দিল্লি ও আশেপাশের এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছেন এবং প্রশাসনকে তত্পর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, পঙ্গপাল প্রথমেই ফসলেও উপর হামলা চালাতে পারে। তাই দিল্লির কৃষি দফতর প্রত্যেক জেলাশাসকের জন্য বিশেষ অ্যাডভাইজারি ইস্যু করেছে।
বন বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ডিজে, ঢোল, বাসন বাজিয়ে পঙ্গপালের দলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য। গুরুগ্রামের আশেপাশে কৃষিজমি পরিস্থিতি দেখার জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পঙ্গপাল সতর্কতা বিভাগের প্রধান কেএল গুর্জর জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পঙ্গপাল গুরুগ্রামে আসে। মুহূর্তের মধ্যেই তারা ২ কিলোমিটার এলাকায় ছেয়ে যায়।
পঙ্গপালের হামলা থেকে বাঁচতে গুরুগ্রামের বাসিন্দাদের যতটা সম্ভব দরজা ও জানলা বন্ধ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি বাসনপত্র, ঢাক-ঢোল, হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে পিটিয়ে ক্রমাগত শব্দ করারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানাসহ পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের কয়েকটি অঞ্চলে পঙ্গপালের আক্রমণে ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়। পঙ্গপাল ঠেকাতে ১১টি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪ প্রজাতির পঙ্গপাল রয়েছে ভারতে। মরু পঙ্গপাল, অভিবাসী পঙ্গপাল, বম্বে পঙ্গপাল ও গাছ পঙ্গপাল। এর মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হলো মরু পঙ্গপাল। মূলত আফ্রিকা থেকে এই পঙ্গপালের ঝাঁক ইরান, পাকিস্তান হয়ে ভারতে এসেছে। মুহূর্তেই পঙ্গপাল ক্ষেতের পর ক্ষেত নষ্ট করে দিতে পারে।
বার্তা বিভাগ প্রধান