আজকাল কি হয়েছে আমার?
একটা শাড়ি কিনতেও তোমাকেই কাছে পেতে ইচ্ছে করে।
একটা টিঁপ, মেঘের মতো কাজল, রেশমিচুড়ি কিনতে – তোমাকেই কাছে পেতে ইচ্ছে করে।
সাজসজ্জা করলে তোমাকেই দেখাতে ইচ্ছে করে কিন্তু কেন?
এর আগে তো এমন লাগে নি!
ঝড় আসলে তোমাকেই কেন মনে পড়ে?
কেন বৃষ্টি এলে তোমার সাথেই ভিজতে ইচ্ছে করে?
কেন স্নান শেষে ঠাকুর ঘরে গেলে – প্রার্থনায় তুমিই চলে আসো?
কই, তোমার আগে-পরে তো অনেক ছেলেই এলোগেলো।
তাদের কথা তো মনে পড়ে না।
প্রথম যৌবনে ভোর সকালে ফুল কুড়াতে গেলে-
আমার নুপুরের ধ্বনি শুনে আর আমাকে দেখে যে ছেলেটা বলেছিল-
মালিনি, তুমি খুব সুন্দর!
কই, তাকে তো মনে পড়ে না।
ঘর থেকে বেরুলে তোমাকেই সঙ্গে পেতে ইচ্ছে করে।
কোথায় কি দেখেছি, কি খেয়েছি, কার সাথে কি গল্প করেছি….
সবকিছু তোমার কাছেই বলতে ইচ্ছে করে কিন্তু কেন?
কেন কোন কিছু রান্না করলে-তোমাকেই খাওয়াতে ইচ্ছে করে?
আজকাল জীবনের বাকিটা পথ তোমার সাথেই হাঁটতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে তোমাকে আশ্রয় ভেবে, দিনশেষে তোমার কাছেই ফিরি।
বাহিরের ঝুম বৃষ্টি থেমে যায়, ঘড়ির কাঁটায় মরচে দাগ পড়ে।
আমার কেবল বাড়ে একজনমের আকুলতা।
এসব ভাবতে ভাবতে আলস্য নামে চোখের কোণে।
তবু, আমার শুধু তোমাকেই কাছে পেতে ইচ্ছে করে-
কিন্তু কেন?
লেখক: অরুন দাস