সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানা কর্তৃক ০৪(চার) জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার গত ২১/০৬/২০২০ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ১১:৩০ ঘটিকায় গোপনীয় সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুচাই পশ্চিমভাগ সিলেট-গোলাপগঞ্জ সড়কে ছিনতাই হয়েছে। বিক্রয় ম্যানেজার কাছ থেকে ১,১৬,৭০০/-(এক লক্ষ ষোল হাজার সাতশত) টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে ছিনতাইকারী সিএনজি অটোরিক্সা যোগে পালাচ্ছে। অফিসার ইনচার্জ মোগলাবাজার থানা সংবাদটি দ্রæত ওয়াকি টকির মাধ্যমে জানিয়ে দেন মোগলাবাজার থানার কর্তব্যরত সকল মোবাইল দলকে। এসআই/রাজীব কুমার রায় সঙ্গীয় এএসআই/আব্দুল জলিল, এএসআই/মনজুর হোসেন, এএসআই/ওবাইদুল্লা ও কর্তব্যরত সকল ফোর্স সঙ্গে সঙ্গে সকল সিএনজি অটোরিক্সা তল্লাশি করতে থাকেন এবং সিএনজি অটোরিক্সার সূত্র নিয়ে কুচাই পশ্চিমভাগ আবাসিক এলাকা হতে মুহুর্তের মধ্যে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা ও ছিনতাইকাজের সহযোগী অটোরিক্সা চালক আব্দুস সামাদ (২০), পিতা-নূর উদ্দিন, সাং-কোতয়ালপুর প্রকাশ কটালপুর, থানা-গোলাপগঞ্জ, জেলা-সিলেট, বর্তমানে-লাউয়াই রায়গ্রাম, জহুরুল মিয়ার ভাড়া বাসা, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেটকে আটক করে। কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সিএনজি অটোরিক্সা চালক আব্দুস সামাদ ছিনতাইয়ের সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য প্রদান করে। বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ মোগলাবাজার থানা জনাব আখতার হোসেন তাৎক্ষনিক সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব পলাশ রঞ্জন দে মহোদয়কে অবগত করিলে তখনই শুরু হয় ছিনতাইকারী গ্রেফতারের অভিযান। একে একে গ্রেফতার করা হয় উক্ত ছিনতাইয়ের সহিত জড়িত ছিনতাইকারী ১। পলাশ মিয়া (৩২), পিতা-জমসেদ মিয়া, মাতা-ফরিদা বেগম, সাং-বাইপাস চুনু মিয়ার বাড়ী (আল নূর কমিউনিটি সেন্টারের পিছনে) গালিমপুর, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট, ২। হাবিব হোসেন (১৮), পিতা-শহিদ মিয়া, সাং-ডরমন্ডল, থানা-নাসিরনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, বর্তমানে-নেনাই মিয়ার কলোনী, দক্ষিণ খোঁজারখলা, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেট, ৩। কামরান আহমদ বাবু (১৯), পিতা-লিলু মিয়া, মাতা-পিয়ারুন বেগম, সাং-ফুলবাড়ী ভুইটেক, থানা-গোলাপগঞ্জ, জেলা-সিলেট, বর্তমানে-দুলাল মিয়ার কলোনী, দক্ষিণ খোঁজারখলা, থানা-দক্ষিণ সুরমা, জেলা-সিলেটদেরকে। উদ্ধার করা হয় ছিনতাইকৃত নগদ ৪,০১০/-(চার হাজার দশ) টাকা ও মোবাইল ফোন। তাদের বিরুদ্ধে মোগলাবাজার থানার মামলা নং-১৫, তারিখ-২২/০৬/২০২০খ্রিঃ আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ আইন এর ধারা-৪/৫ রুজু করা হয় এবং আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.