Home » প্রেমিকাকে বিয়ের দাবিতে ১৭০ ফুট উঁচু বৈদ্যুতিক টাওয়ারে যুবক

প্রেমিকাকে বিয়ের দাবিতে ১৭০ ফুট উঁচু বৈদ্যুতিক টাওয়ারে যুবক

পরিবার থেকে প্রেমিকার সাথে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নেশাদ্রব্য খেয়ে ১৭০ ফুট উঁচু এবং ১ লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের টাওয়ারে উঠে প্রেমিক বিপ্লব। পরে প্রেমিকার সাথে বিয়ে দেওয়াসহ নানা ধরনের শর্তে সাপেক্ষে প্রেমিককে অক্ষত অবস্থায় নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয় আদমজীর ফায়ার সার্ভিস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার রাত ৯ টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ বিহারী ক্যাম্পের পাশে শাহী মসজিদের দক্ষিণ পাশে জাতীয় গ্রিড লাইন বিদ্যুৎ টাওয়ারে এই ঘটনা ঘটে। আর এসময় তাকিয়ে তাকিয়ে সিনেমার শুটিং দেখার মতো দৃশ্য দেখছিলেন হাজারো দর্শক জনতা।

জানা গেছে, ১৭০ ফুট উঁচু এবং ১ লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার পরিবাহী ওই টাওয়ারের অনেক উঁচুতে উঠে অবস্থান নেন নারায়ণগঞ্জ সিটির ৬নং ওয়ার্ডস্থ আদমজী বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দা বিপ্লব নামে এক যুবক। পাশেই দড়ি বেঁধে ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের অনেক অনুরোধেও নিচে নামতে রাজি হচ্ছিলেন না বিপ্লব। অনেক চেষ্টার পর শর্ত মানার প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিহারী ক্যাম্পের গুলু মেম্বারের কথায় কিছুটা নিচে নেমে এলে আশেপাশের লোকজনের চিৎকার শুরু করে। তাকে নিচে নামিয়ে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের এগিয়ে যেতে দেখে বিপ্লব ফের ওপরের দিকে উঠতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর তার ভাইয়ের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসের হ্যান্ড মাইকে কথা বলতে পুনরায় কিছুটা নিচে নেমে এলে অপর প্রান্ত দিয়ে স্থানীয় দুজন ওপরে উঠে তাকে ধরে ফেলে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ওপরে উঠে তাকে অক্ষত অবস্থায় নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়।

প্রেমিক বিপ্লবের বাবা বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত। প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য ঘরে হুমকি-ধমকি দেয়। বেশ কয়েকদিন ধরে একই ক্যাম্পের এক তরুণীকে বিয়ে করতে আমাদের অনুমতি চায় সে। কিন্তু আমরা এতে সম্মতি না দেওয়াতে সে এই ঘটনার জন্ম দিয়েছে।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, এক যুবক বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠেছিলেন। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও আদমজীর ফায়ার সার্ভিস ওই যুবককে নামিয়ে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *